সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে প্রশ্নের মুখে ইডি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ গরু পাচার মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। সেইমতো গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে মামলা স্থানান্তরের আবেদন করেছিলো।
কিন্তু শনিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই আবেদনের প্রথম শুনানির দিন কার্যত ধাক্কা খেলো কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এদিন কার্যত সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইডির আইনজীবি অভিজিৎ ভদ্রকে। কেন এই মামলা দিল্লিতে সরানোর হবে তার প্রশ্ন করেন বিচারক।
তিনি জানতে চান, কোন আইনে ও কে এই অধিকার দিয়েছে? কোন মামলা কি ইচ্ছে করলে যে কোন কেন্দ্রীয় এজেন্সি, যে কোন রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে? বিচারক উদাহরণ দিয়ে একজন অভিযুক্ত কেরল, কর্ণাটক, অসম বা দিল্লিতে আছে। তাহলে এই মামলা কোথায় যাবে? সেই সময় ইডির আইনজীবী আইনের একাধিক ধারার উল্লেখ করে আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন। বিচারক ভরা এজলাসে ধারা গুলি পড়েন ও জানতে চান এই প্রশ্নের উত্তর উত্তর কোথায় আছে? তখন ইডির আইনজীবী নীরব থেকে যান। তিনি বলেন, আমাকে সময় দেওয়া হোক। আমি তথ্য দেবো। তখন বিচারক অনুব্রতর আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২ সেপ্টেম্বর।
এই গরু পাচার মামলায় প্রথমে সিবিআই ও ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন দিল্লির তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত,তার কন্যা, তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল, এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার।
পরে আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিলো। এদিন তার শুনানি ছিলো। ইডির আইনজীবী বিচারকের কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তার সওয়াল শেষ হলে, আমরা জবাব দেবো।