RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সচেতন করার উদ্দেশ্য বৈঠক করলো রানীগঞ্জ থানার পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : প্রাচীন অপরিকল্পিত বাণিজ্যিক শহর হিসেবে পরিচিত খনিজ শহর রানীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ব্যাপকতা অন্য সকল শহরের থেকে অনেকটাই বেশি। আর এই সকল স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক স্থলে বারংবার দুষ্কৃতিদের আক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। বেশ কয়েক দফায় প্রাণঘাতী হামলাও হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলিকে লক্ষ্য করে এবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার তারা রানীগঞ্জের ষষ্ঠী গড়িয়ায় অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরীতে রানীগঞ্জের প্রায় একশো কুড়ি জন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে কি কি করনীয় রয়েছে ও কি কি করলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুরক্ষিত রইবেন সে সকল বিষয়গুলি বাদলে দিলেন রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর সুদীপ দাশগুপ্ত থেকে শুরু করে এসিপি সেন্ট্রাল টু শ্রীমন্ত ব্যানার্জি সহ পুলিশের উচ্চ আধিকারিকেরা। এদিন তারা জানিয়ে দিলেন কি কি উপায়ে দুষ্কৃতিদের ঠেকানো সম্ভব হবে। এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর পরামর্শ দেন নজরদারির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সাথেই বড়সড়ো, দোকানে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়নের পরামর্শ দেন।

একই সাথে তার দাবি বড় বড় সোনার দোকানগুলিতে আইডি প্রুফ চেক করার ব্যবস্থা করা হলে চুরির মোকাবেলা করা যাবে অনেকটাই। সেখানে যেদিন এসিপি সেন্ট্রাল টু শ্রীমন্ত ব্যানার্জি জানান চোরাই সোনা রুপো যদি সোনার দোকানগুলি কেনা বন্ধ করে দেয় কিংবা অচেনা ও সন্দেহ জনক কোন ব্যক্তির সোনার গহনা নিয়ে আসার বিষয় সম্পর্কে যদি সকলে সজাগ থাকে তাহলে চুরি ডাকাতির মত ঘটনা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে বলেই দাবি করলেন এসিপি। তার দাবি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সর্বদাই সচেতন থাকা প্রয়োজন দরকারে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বিভিন্ন সময় বদল করে চলা উচিত বলেই তার বক্তব্যে দাবি করেন তিনি। এদিনের এই বৈঠকে স্বর্ণশিল্পীরা ও তাদের অসুবিধের কথা জানিয়ে দেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের। প্রশাসন সূত্রে তাদের সমস্ত কথা শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

Leave a Reply