ASANSOL

অনলাইন প্রতারণার শিকার বিজেপির ট্রেড সেলের কো-কনভেনার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ কোনভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না ” অনলাইন প্রতারণা বা সাইবার অপরাধ” র। এবার এই অনলাইন প্রতারণার শিকার হলেন আসানসোলের আপকার গার্ডেনের বাসিন্দা শিল্পাঞ্চলের প্রতিষ্ঠিত বস্ত্র ব্যবসায়ী বিজেপির রাজ্য ট্রেড সেলের কো-কনভেনার সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটি। তিনদিনে তিনবারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের আসানসোল আপকার গার্ডেন শাখার ব্যবসায়ীর একটি জয়েন্ট একাউন্ট থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার কথা জানার পরেই ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ ঐ একাউন্টের লেনদেন আপাততঃ বন্ধ করে দেয়। একইভাবে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটি আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।


নতুন অনলাইন ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে আসানসোলের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটি এদিন বিকেলে বলেন, আমার বাড়ির কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় আমার একটি একাউন্ট আছে। আমার মোবাইলে গত ২৫ আগষ্ট একটি ম্যাসেজ আছে। তাতে বলা হয় ঐ একাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা কাটা হয়েছে। আমার মনে লকার ভাড়া হিসাবে এই টাকা কাটা হয়েছে। একইভাবে এরপর ২৭ আগষ্ট ও ২৮ আগষ্ট আরো দুটি ম্যাসেজ আছে। তাতে জানতে পারি আরো দু’বারে আমার ঐ একাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করে বিষয়টি বলি। ব্যাঙ্ক থেকে পরে আমাকে ফোন করে বলা হয়, ঐ একাউন্ট ‘ হ্যাক ” করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমি চিন্তায় পড়ি।

কারণ আমি অনলাইন টাকা লেনদেন করিনা। আমার কোন কার্ড নেই। পাশাপাশি আমার কোন কোন ওটিপি আসেনি। কাউকে কোনকিছু আমি দিইনি। সুব্রতবাবু বলেন, আমি এদিন সাইবার থানায় সব তথ্য দিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে এই ঘটনা খুবই চিন্তার। এই ভাবে কত মানুষের টাকা অপরাধীরা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পুলিশের এই ব্যাপারে বড় কোন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এদিকে, এই প্রসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশেট সাইবার থানার এক আধিকারিক বলেন, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কোন কিছু শেয়ার না হলেও, সাইবার অপরাধীরা কোন এক কৌশলে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তা আটকানোর চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *