BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের সেফটি সেমিনারে, কড়া ভাষায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে আক্রমণ

বেঙ্গল মিরর, চিত্তরঞ্জন, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ দেশে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। দিনের পর দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসেরও দাম বাড়ছে।আর কেন্দ্র সরকার বলছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে। আসলে এই সরকার হলো কিছু
মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের সরকার। দেশের গরীব মানুষের সরকার নয়। শুক্রবার রাতে রেল শহর চিত্তরঞ্জনে ৪ র পল্লীর কমিউনিটি হল সংলগ্ন ময়দানে চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেনস্ কংগ্রেস বা সিআরএমসির উদ্যোগে হওয়া এক সেফটি সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্র সরকারকে এমনই কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।


তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বৃহত্তম রেল ইঞ্জিন কারখানা হলো এই চিত্তরঞ্জন। এই কারখানা এখনো পর্যন্ত প্রচুর রেল ইঞ্জিন তৈরি করেছে। আজ এই কারখানাকে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। বিহারীবাবু নিজের মেজাজে বলেন, “খামোশ “। না হলে নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষেরা খামোশ করবে এই কেন্দ্র সরকারকে।


চিত্তরঞ্জন রেল শহরে চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের এনএফআইআরের পাশাপাশি আইএনটিইউসি, আইটিএফ শ্রমিক সংগঠন আয়োজিত এই সেফটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাবনি বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। মেয়র বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মানে মোদি সরকার। এই সরকার দেশকে বিক্রি করার ঠিকা নিয়েছে। দেশের সব সম্পত্তি একের পর বিক্রি করছে এই সরকার। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে আর চলবে যত দিন না এই কেন্দ্রীয় সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে যায়৷ আমরা এক হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবো। চিত্তরঞ্জনকে কোনভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না। আর তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে নামতে হবে। যোগ্য জবাব দিতে হবে।আয়োজক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন, সাংসদ আসার নাম শুনে রবীন্দ্র মঞ্চের অনুমতি বাতিল করা হলো। এমনকি তার প্রচার পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলা হলো। কিছু লাভ হলো না তাদের সাজানো ষড়যন্ত্রের। ২০০৪ সালের পরে যারা চাকরিতে যোগদান করেছেন তাদের পেনশন দেবে না বলে নিউ পেনশন স্কিম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে বৃদ্ধ বয়সে কর্মীদের বাঁচার অবলম্বন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিরও পেনশন নেওয়ার অধিকার নেই। চিত্তরঞ্জনে এখন ৩ হাজার ৬০০ পদ খালি আছে। আগামী বছরে আরো ২ হাজার পদ খালি হয়ে যাবে। শূন্যপদ পূর্ণ না হলে,কারখানার আধুনিকীকরণ না হলে দুর্ঘটনা যেমন বাড়বে তেমনই কারখানার অস্তিত্বও সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে তিনি এখন সেলসম্যানের কাজ করছেন। আর আদানি আম্বানিদের দালালি করে মিডিলম্যানের কাজ করছেন। ২০২৪-এ এই সরকারকে হটানোর শপথ নিতে হবে।


এদিনের সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, আইএনটিইউসি রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি সুভাষ সাহা, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, ভোলা সিং,তাপস ব্যানার্জী সহ আরো অনেকে।

Leave a Reply