চেকে লেখার থেকে লক্ষাধিক বেশি টাকার তোলার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
থানা ও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল উত্তর থানা এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে চেকে লেখা টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে লক্ষাধিক টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। বুধবার আসানসোল উত্তর থানায় এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর সি কে রেশমা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিতভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কমিটির ওয়ার্ড সভাপতি সি কে রেশমা। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি তিনি আসানসোল উত্তর বিধান সভার বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক , আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান প্রাথমিক জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্কুল পরিদর্শককে দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, আমি বাইরে আছি । এখন সেই অভিযোগ ফোনে জানতে পেরে জেলা স্কুল পরিদর্শককে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। ঘটনা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আসানসোলের উত্তর থানার ওসির কাছে অভিযোগ জানিয়ে ও আসানসোল সার্কেলের স্কুল পরিদর্শককে লেখা অভিযোগে সিকে রেশমা বলেছেন, মঙ্গলবার স্কুলের তরফে দুটি চেক দেওয়া হয়। একটি ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা ও অন্যটিতে ৯০০০ টাকা লেখা ছিল। এই টাকা স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ব্যবহার করার ছিলো। এই টাকা স্কুলের শিক্ষা খাতে খরচের জন্য আমি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হিসেবে তোলার জন্য কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাব মতো একদিকে স্বাক্ষর করেছিলাম।
অন্যদিকে কমিটির সম্পাদকের স্বাক্ষর ছিল। পরে পাস বই আপডেট করে জানতে পারি যে, ঐ লেখা টাকার আগে একটি করে ২ বসিয়ে এক জায়গায় ২ লক্ষ ও অন্য জায়গায় ২০ হাজার অতিরিক্ত টাকা তুলে নিয়েছেন এই ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক তথা স্কুলের টিচার ইনচার্জ সৈয়দ আলম কাদরি। সিকে রেশমা আরো বলেন, ওই অভিযোগে আমি লিখেছি প্রাথমিকভাবে তিনি জানতে পেরেছেন শুধু মঙ্গলবারই এই ভাবে টাকা তোলার ঘটনা প্রথম ঘটেছে এমনটা নয়। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। গোটা বিষয়টি জানিয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্তের দাবী জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি স্কুল পরিদর্শক ও থানার ওসিকে ।এই আবেদন পত্রের সঙ্গে তিনি ব্যাংকের থেকে সংগৃহীত তথ্যও জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
জেলা স্কুল পরিদর্শক( প্রাথমিক) দেবব্রত পাল বলেন, আমাকে আসানসোল সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনিও এদিন অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন ও তাকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানও বিষয়টি দেখার জন্য বলেছেন। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে যা করার পরে করা হবে।যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই টিচার ইনচার্জ তথা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক সৈয়দ আলম কাদরি বলেন, আমাকে শিক্ষা দপ্তর থেকে এই নিয়ে কেউ কিছু এখনো বলেননি ।যা বলার সেখানেই তিনি বলবেন। যদিও সিকে রেশমা দাবি করেন, ঐ শিক্ষক তাকে ফোন করে বলেছিলেন আমাকে একবারের জন্য অন্তত সুযোগ দিন। গোটা ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়েছে।