ASANSOL

আসানসোলে ডেঙ্গি সংবেদনশীল ১৩টি ওয়ার্ড

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নির্দেশ রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিবের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই আসানসোল, বার্ণপুর ও জামুড়িয়ায় গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৫০ জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ এরও বেশি বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। দূর্গাপুর পুরনিগম এলাকাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তর খোঁজ পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় গোটা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমে দিনভর এই দুই পুর এলাকার ডেঙ্গু মোকাবিলা নিয়ে দু’দফায় জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক হয়।

রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরীর উপস্থিতিতে দুই দফায় এই বৈঠক হয়। বিভিন্ন দিক থেকে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে দুদফার বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনার ভিত্তিতে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আসানসোল পুরনিগম এলাকায় মোট ১৩ টি ওয়ার্ডকে সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে দূর্গাপুজোর আগে ১০ অক্টোবরের মধ্যে এইসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গু নির্মূল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে ।

এই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত অধিকারী, দিব্যেন্দু ভগত, দুর্গাপুর পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে রাজ্য নগরোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আসানসোল পুরনিগম ও দূর্গাপুর পুরনিগমের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে যৌথভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বৈঠকে বলেন, আসানসোল পুর এলাকার একটা বিরাট অংশ রেল, ইস্কো ও ইসিএলের রয়েছে। তাদেরকে চিঠি দিয়ে সবকিছু জানানো হবে। যাতে তারা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। বৈঠকে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, পুরনিগম ডেঙ্গু পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।


গোটা বিষয়ে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু ঠেকাতে যা যা করা দরকার তা করা হবে। এরজন্য প্রয়োজনীয় কর্মী থেকে গাড়ি থেকে শুরু করে সব কিছু দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন , দীর্ঘদিন ধরে পুর এলাকায় যেসব বাড়ি বন্ধ রয়েছে পুলিশের সহায়তায় সেগুলোর তালা ভাঙা হবে। নির্মল সাথী ও নির্মল বন্ধুর সহায়তায় সেইসব ঘরগুলো পরিষ্কার করা হবে। তার দাবি, আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।l

Leave a Reply