পশ্চিম বর্ধমান অবৈধ ভাবে ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ এবং বন কর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে চোরা কাঠ পাচার
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে দিনের আলোতে পুলিশের নাকের ডগায় নাকা চেকিংয়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করছে বিভিন্ন দামি গাছের কাঠ ।তবে অনেকদিন ধরেই চলছিল তল্লাশি কোনক্রমে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের। কিন্তু এবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোল রেঞ্জের কর্মীরা পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে প্রবেশ করা একটি ছোট হাতি গাছের গুড়ি নিয়ে যাবার সময় রূপনারায়নপুর -ঝাড়খন্ড রোডে ধরা পরল বনকর্মীদের হাতে ।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে বহু বছর ধরে এইভাবে অবৈধ কাঠ ঝাড়খন্ড এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্য থেকে চিত্তরঞ্জন শহরে প্রবেশ করছে আর আরেক দিকে রূপনারায়নপুর হয়ে সালানপুর এবং আরেক দিকে বারাবনির ব্লকের রুনাকুরা ঘাট হয়ে বারাবনির বিস্তীর্ণ কাঠগোলায় তার সাথে তো পশ্চিম বর্ধমান এর বিভিন্ন অঞ্চলের গাছ তো রয়েছে। যেগুলো অবৈধভাবে কাটা চলছে প্রতিনিয়ত । কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিতে নারাজ. বিভিন্ন বিভিন্ন কাঠগোলায় দিনের আলোতে বনকর্মী এবং পুলিশ কর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে প্রবেশ করে যাচ্ছে.
বিনা অনুমতি নিয়ে সালানপুর এবং বারাবনির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন গাছ কেটে ফেলে এই বিষয়ে জানতে গেলে কিছু প্রকৃতিপ্রেমী বলেন এই সময় মাইথনের,পাঞ্চেত জলাধার হয়ে বিভিন্ন নৌকাতে করে অবৈধ কাঠ আমাদের রাজ্যে প্রবেশ করে থাকে তার সঙ্গে সঙ্গে বারাবনি ব্লকের রুনা কুড়ো ঘাট ,বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার, শিলিগুড়ি এবং কলকাতার বিভিন্ন অবৈধ কাঠ সেইগুলো দিনে রাতে ডিসেরগড় ঘাট, ডুবডি চেকপোস্ট আরো বিভিন্ন বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী জাতীয় সড়ক এবং বিভিন্ন স্থানীয় রাস্তা হয়ে আমাদের রাজ্যে প্রবেশ করে আসানসোল বরাকর কুলটি এবং সালানপুরের এবং বারাবনি বিভিন্ন কাঠগোলায় ঢুকে যাচ্ছে। এতে রাজ্যের রাজস্ব কর ক্ষতি হচ্ছে যেখানে ১০% কাঠ বৈধভাবে প্রবেশ করছে কিন্তু ৯০% অবৈধভাবে প্রবেশ করে রাজ্যের রাজস্ব করে একটি ক্ষতি দেখা যাচ্ছে এই বিষয়ে ঝাড়খন্ড এবং বাংলা রাজ্যের বনদপ্তর কে ব্যবস্থা নেওয়ার কঠোর অনুরোধ জানিয়েছে পরিবেশ প্রেমীরা ।
. এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক এবং পুলিশের বিভিন্ন আআধিকারিক, ঝাড়খণ্ডের ডিএফও, জামতারা রেঞ্জার, মিহিজাম থানার অফিসার ইনচার্জ, ঝাড়খণ্ডের নলার রেঞ্জার, পুরুলিয়ার বন আধিকারিক, বাঁকুড়ার বন আধিকারিক , আসানসোল রেঞ্জ অফিসার, দুর্গাপুর বন বিভাগের বন আধিকারিক তাদেরকে এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন সমাজসেবী প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজন ।
সরলকয়েকটি প্রশ্ন, ঝাড়খন্ড , পুরুলিয়া বাঁকুড়া, কলকাতা হয়ে আমাদের পশ্চিম বর্ধমানে প্রবেশ করছে , আমাদের পশ্চিম বর্ধমান আসতে কতগুলো চেকপোষ্ট আছে?? তাদের চোখ এড়িয়ে কি করে ঢুকছে এভাবে চোরাই কাঠ? দ্বীতিয়ত কোন না কোন বনাঞ্চল অথবা সরকারি জমি কতবার নিজের বাড়ি অথবা জমির কোন অনুমতি ছাড়াই ধ্বংস করেই এমন কাঠ পাচার হচ্ছে প্রতিদিনই,এই দায় কার? তৃতীয়ত দেশ সহ সকল রাজ্যসরকারগুলোর কোন হেলদোল আছে বলে মনে হয় কি এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে ???? বণ ও বণ্যপ্রান প্রকৃতির অমূল্যদান,একে রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য।