RANIGANJ-JAMURIA

গহনা ও টাকার সাথেই ব্যায়াম করার ডাম্বেল নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : চোরেদের ডাম্বেল চুরি করা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, স্বাস্থ্য সচেতন চোর, হয়তো চুরি করতে ঢুকেছিল গৃহস্থের পরিবারে, তাই গহনা ও টাকার সাথেই ব্যায়াম করার ডাম্বেল নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর। তবে এই চোরেদের শায়েস্তা করতেই হবে, তাদের পাকড়াও করে দিতে হবে উপযুক্ত শাস্তি, এমনই দাবি করলেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে পঞ্চায়েতের প্রধান। মঙ্গলবার রানীগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ি এলাকার বাঁশড়া গ্রামের ইসিএল খনি আবাসনের দুটি বাড়িতে ও সংলগ্ন অংশেরই ভূঁইয়া পাড়ার একটি বাড়িতে, বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে, চুরির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার এই বিষয় লক্ষ্য করে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত প্রধানকে খবর দিলে, প্রধান পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার খবর জানান, এরপরই পুলিশ চুরির ঘটনার তদন্তে এসে পৌঁছন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্য করা যায়, ইসিএলের বাঁশড়া খনি আবাসনের মাঝি পাড়া দুতল্লা আবাসন এলাকার বাসিন্দা খনি কর্মী নরেশ মাঝি, গত রবিবার থেকে তার দেশের বাড়িতে কালীপুজো থাকায়, বাড়িতে তালা বন্ধ করে চলে যান দেশের বাড়ি, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার বাড়ির তালা ভেঙ্গে, চোরের দল বাড়ির মধ্যে থাকা লোহার আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও বেশ কিছু রুপোর অলংকার, ও একটি সোনার কানের দুল নিয়ে পালায়। একই সাথেই কয়েকটি বাড়ি ছেড়েই খনি কর্মী মিহির বাউরি, ও তার পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই খনি কর্মীর বাড়ির সদর দরজার তালা ভেঙে, তার বাড়ির মধ্যে থাকা একটি কাপড় জামা ও আসবাব রাখার, টিনের বাক্স খুলে তার মধ্যে থাকা নগদ প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতি।

তবে খুব আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পায় কাপড়, জামার আড়ালে থাকা, বেশ কিছু সোনার মূল্যবান অলংকার। বাড়ি গৃহিনের দাবি গোপাল গোবিন্দের কৃপায় রক্ষা পেয়েছে তাদের সোনার অলংকার ও মূল্যবান সামগ্রী। তবে তার একটাই আক্ষেপ ছোট বাচ্চাদের হোম টাস্ক করা খাতা পত্র ও বই ছিড়ে দিয়ে গেছে, চোরের দল, যা অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে তাদের। সেখানেই পার্শ্ববর্তী এলাকায় পূজোর বিসর্জন দেখতে যাওয়া, চার নম্বর ভূঁইয়াপাড়ার বাসিন্দা বেবী দাসের বাড়িতেও চোরের দল বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিত থাকার সুযোগে, চুরির ঘটনা ঘটায়। তবে সেখানে মাটির ভাঁড়ে থাকা তিন চার হাজার টাকা ও একটি ব্যায়াম করার ড্রাম্বেল নিয়ে পালায় চোরের দল। যা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জয় হেমব্রম জানান, চোরেরা হয়তো স্বাস্থ্য সচেতন, তাই চুরির সামগ্রীর সাথে ড্রাম্বেল নিয়ে গেছে চুরি করে। তবে এই ঘটনা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না, তাই পুলিশ প্রশাসনকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে, দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।


যদিও এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন প্রতিটি পরিবারের সদস্যদেরই জানিয়েছেন কোন উৎসব অনুষ্ঠানে বাড়ির বাইরে বাড়ি শুদ্ধ মানুষ জন গিয়ে থাকলে বাড়িতে দামি তালা লাগিয়ে যাবেন। আর তার সাথেই আশেপাশের মানুষজনদের নিজের বাইরে যাওয়ার খবরটি জানিয়ে দেবেন। তার অনুরোধ বাড়ী শুদ্ধ সকলের না গিয়ে দু একজনকে বাড়ির মধ্যে রেখে বেড়াতে যাওয়ায় ভালো। এদিনের এই ঘটনার পরে পুলিশ সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে, ঘটনাটি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছেন।

Leave a Reply