ASANSOL-BURNPUR

বার্ণপুরে কোয়ার্টার দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী ইস্কো কতৃপক্ষ , দেওয়া হলো ৭ দিনের সময়

বেঙ্গল মিরর, বার্ণপুর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ বার্ণপুর ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ বা সেল আইএসপি স্টিল প্ল্যান্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আবাসন বা কোয়ার্টারগুলিকে দখলমুক্ত করতে অভিযান জোরদার করেছে। ইস্কো প্রশাসন ইতিমধ্যে দখলদারদের নোটিশ দিয়েছে। মাইকিং করে কোয়ার্টার খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ইস্কো কারখানার টাউন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের সঙ্গে এ্যান্টি এনক্রোচমেন্ট টিমের সদস্যরা বার্ণপুরের নিউটাউন এলাকা পরিদর্শনে যান। তারা ঐ এলাকায় অবস্থিত কোম্পানির কোয়ার্টার দখলকারীদের একটি আল্টিমেটাম বা চরম সময়সীমা দেন। কারখানার আধিকারিকরা সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা বিভাগের কর্মী ও পুলিশের উপস্থিতিতে দখলদারদের ৭ দিনের মধ্যে কোয়ার্টার খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও ঐসব কোয়ার্টারে বসবাসকারীদের মোবাইল নম্বর রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন ইস্কো কারখানার আধিকারিকরা যখন দখল হয়ে যাওয়া কোয়ার্টার পরিদর্শন করতে আসেন, তখন তারা জানতে পান যে অন্য কেউ কোয়ার্টারের ভাড়া আদায় করছে। স্বাভাবিক ভাবেই তারা তা শুনে হতচকিত হয়ে যান। নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীদের সাথে টাউন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা এইভাবে দখল করার জন্য দখলকারীদের নিন্দা করেন এবং অবিলম্বে কোয়ার্টার খালি করার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিন ইস্কো আধিকারিকরা নিউটাউনের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর রোডে মোট ১৯টি ডি টাইপের কোয়ার্টার দখলকারীদের আল্টিমেটাম দেন। এই পরিদর্শনকালে ১০ নম্বর রোডে কোম্পানির জমিতে নির্মাণের জন্য খনন কাজ দেখে বিস্মিত হন আধিকারিক সহ কর্মীরা।


এই বিষয়ে এদিন আইএসপির মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, গত কয়েক মাস আগে ডিরেক্টর ইনচার্জের নেতৃত্বে দখল উচ্ছেদে কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরার রয়েছেন। তিনি আরো জানা, এই কমিটি গত কয়েক মাস ধরে খুব ভালো কাজ করছে। দখলদারদের কোয়ার্টার খালি করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোয়ার্টারও খালি হচ্ছে এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরে। নিউটাউনে যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে যাতে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। দখল করে নেওয়া কোয়ার্টারে বসবাসকারীদের কাছ থেকে সময় নেওয়া হচ্ছে। তবে এক সপ্তাহের বেশি সময় দেওয়া হবে না। কোম্পানিতে নতুন কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। সেই কর্মচারীদের কোয়ার্টার দিতে হবে। যেসব কোয়ার্টার দখল করে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধীরে ধীরে কোয়ার্টার খালি হয়ে গেলে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের নাম প্রকাশ্যে আসবে। কর্মীরা ঠিকমতো থাকতে পারলেই কারখানায় কাজ ঠিকমতো হবে এবং এলাকার উন্নয়ন ঘটবে।

এদিনের এই অভিযানে জিএম (টাউন সার্ভিসেস) মহেশ বার্ণওয়াল, জিএম (এলএলএন্ডপিআর সিওসি) ভাস্কর কুমার, জিএম (এস্টেট- ল্যান্ড অ্যান্ড সিএসআর) সুধীর কুমার সাহু, সিনিয়র ম্যানেজার (পারসোনেল- সিএলসি) পবন কুমার সিং, সিনিয়র ম্যানেজার (এস্টেট) সঞ্জয় কুমার, ডিএম (সিকিউরিটি অ্যান্ড এভিয়েশন) অনিরুদ্ধ গুহ এবং এনক্রোমেন্ট টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *