ASANSOL

আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুরু হল রুট মার্চ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়/ চরণ মুখার্জি , ( Loksabha Election 2024 ) লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট  এখনো ঘোষণা করা না হলেও, রাজ‍্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন কোম্পানি এলো এডিপিসি বা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট  এলাকায়।
মূলতঃ, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতেই দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই রাজ‍্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসা বলে জানানো হয়েছে।
এদিন কুলটি থানার এলাকায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছায়।


কুলটি থানার  শিয়ালডাঙ্গা, খিলান ধাওড়া, লালবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ( কুলটি) ও কুলটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ সহ পুলিশ অফিসাররা।  কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দেওয়ায়  পাশাপাশি স্থানীয় লোকেদের সাথে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচন প্রক্রিয়া  ভালোভাবে হবে ও তারা যেন তাদের ভোটাধিকার নিজেদের মতো করে প্রয়োগ করেন, সেই ব্যাপারে সাধারণ মানুষদেরকে আশ্বস্ত করেন। ভোটের অনেক আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় স্থানীয় বাসিন্দারা  খুশি।
কুলটির পাশাপাশি আসানসোল, সালানপুর, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, পান্ডবেশ্বর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করবে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে প্রয়োজন মতো আরো কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে আসানসোলে।

  নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি এখনো।এরই মধ্যে নিজেদের ঝুলিতে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে ব্যস্ত প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলি। এবারের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সমগ্র ভারত বর্ষ। এবারের ভোটে কোনো রকম অশান্তি ও ঝুঁকি এড়াতে ভোটের প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।মঙ্গলবার অন্ডালের উত্তর বাজার, দক্ষিণ বাজারের মোট ১৪ টি বুথ  এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএসএফ বাহিনীকে রুট মাঠ করতে দেখা যায়।সঙ্গে ছিল স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ।  অন্ডাল হিন্দি হাই স্কুল থেকে রুট মার্চ শুরু হয়। অন্ডাল হিন্দি হাই স্কুল, উত্তর বাজার, দক্ষিণ বাজার,রয়েলটি মোড় সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রুট মার্চ  করে কেন্দ্র বাহিনী। সঙ্গে ছিল রাজ্য পুলিশ।  নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিতে শুরু করায় কিছুটা হলেও আস্বস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা।

Leave a Reply