RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জ রেফারীজ অ্যাসোসিয়েশনের সমাবর্তন ও মিলন উৎসবের আয়োজন

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ :   খনি অঞ্চল শিল্পাঞ্চলে শত প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে ঝড় জল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে খেলার ময়দানে, সঠিক ন্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা নির্ণায়ক, বা খেলার পরিচালকদের সংগঠন রানীগঞ্জ রেফারীজ অ্যাসোসিয়েশন তাদের সংঘবদ্ধভাবে তৈরি করা সংগঠন শুরু করেন ২০০৬ সালে। সেই পথ চলা শুরু পর, আজ দিকে দিকে সুনাম অর্জন করে, খেলা পরিচালনায় মন জয় করে রানিগঞ্জ রেফারীজ অ্যাসোসিয়েশন। এবার সেই সংগঠনের ১৮ তম বার্ষিক সমাবর্তন ও মিলন উৎসবের আয়োজন করা হল, রানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হেরিটেজ ঘোষিত কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত, সিয়ারসোল রাজ হাইস্কুলের সভাকক্ষে।

বছরের বিভিন্ন সময়ে, রানীগঞ্জ জামুড়িয়া, উখড়া, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর এমন কি পাশের জেলা বাঁকুড়ায় খেলাধুলার সঠিক পরিচালনার জন্য বারংবার ডাক পড়ে এই সংগঠনের সদস্যদের। বছরে প্রায় ১৭০ টির বেশি ফুটবল খেলা, ক্রিকেট খেলা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়, নির্ণায়ক হিসেবে তারা ময়দানে থেকে খেলার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে খেলাটি খেলা হচ্ছে কিনা, তা লক্ষ্য করে, সঠিক বিচার প্রদান করেন খেলার ময়দানের বিচারক হিসেবে। বর্তমানে মোট ৭২ জন রেফারি ও ২২ জন শিক্ষানবিস রেফারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে, এই সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন।

বর্তমানে বহু যুব সদস্যই খেলাধুলার সাথেই এই নির্ণায়কের ভূমিকায় অংশ নিতে, যুক্ত হতে চাইছেন এই সংগঠনে, তবে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের পরই গ্রহণ করা হয়ে থাকে এই সংগঠনে। যা বর্তমান প্রজন্মের যুব সদস্যদের অনেকটাই অনুপ্রাণিত করছে বলেই দাবি করেছেন যুব সদস্যরা। এবার সেই সদস্যরাই বিগত বছর গুলির ন্যায় এবছরও সম্মিলিতভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে মিলন উৎসবে মাতলেন। যেখানে অনেকেই স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নিয়ে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন বিষয় নিজের কবিতায় তুলে ধরলেন। একইভাবে বেশ কিছু সদস্য বাউল গান পরিবেশন করে, কেউ হাস্যকৌতুক পরিবেশন করে,  নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুললেন। আর এ সকলের মাঝেই ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ সদস্য যারা রয়েছেন তাদের সম্মানিত করা হল সংগঠনের তরফ থেকে। আর এ সকল এর আগেই সংগঠনের সভাপতি শশাঙ্ক শেখর আচার্য ও সাধারণ সম্পাদক শশাঙ্ক শেখর কাঞ্জিলালকে আসানসোল স্পোর্টস অফিসিয়ালস এর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একি সাথে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকেই স্মারক উপহার প্রদান করা হয় এই বিশেষ দিনে। যা নিয়ে এদিন সকাল থেকে দিনভর তারা মেতে থাকে নানান অনুষ্ঠানে।

Leave a Reply