ASANSOL

আসানসোলে বাকযুদ্ধ চরমে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও বার্ণপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ যত লোকসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ততই বাকযুদ্ধ চরমে উঠছে আসানসোলে।
বলতে গেলে, প্রচার শুরুর প্রথম দিন থেকেই সভা মঞ্চ থেকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ” প্রচার মন্ত্রী ” বলে কটাক্ষ করছেন। পাশাপাশি ইলেকট্রল বন্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে আক্রমণ করছেন পদ্ম শিবিরের প্রাক্তন মন্ত্রী। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন দুপুরে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে দলের এক সভায় এই দুটি ইস্যু নিয়ে আরো একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন তার দলেরই প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা।
এবার এই দুটি ইস্যুতে তৃনমুল কংগ্রেস ও শত্রুঘ্ন সিনহাকে পাল্টা জবাব ফিরিয়ে দিয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেন এসএস আলুওয়ালিয়া।


এদিন সন্ধ্যায় বার্ণপুরের সম্প্রীতি হলে দলের কর্মীসভায় যোগ দেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, যখন মানুষের ডিলিরিয়াম হয়, তখন মাথা কাজ করেনা। তখন যা খুশি বলা যায়। প্রচার তো সবাই করে। মুখ্যমন্ত্রী সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় এক কর্ণার থেকে অন্য কর্ণারের দিকে যান। যেমন ভাবে বাসে হকাররা জিনিস পত্র বিক্রি করেন। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে কি বলা হবে? আলুওয়ালিয়া বলেন, আমি কিন্তু কোন কিছু বলতে চাননি। প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর জায়গায়। দুজনেই সম্মানীয়।


একইভাবে, ইলেকট্রল বন্ড নিয়ে এসএস আলুওয়ালিয়া বলেন, উনি বিষয়টি পাশ হওয়ার সময় তো ঐ দলে ছিলেন। তখন কিছু বলেননি কেন? তার প্রশ্ন তৃনমুল কংগ্রেস কি ইলেকট্রল বন্ডের সুবিধা পায়নি? এই যে উনি প্রচার করছেন, তার টাকা কোথা থেকে পেয়েছেন? আসল কথা হলো, যা খুশি বললেই হলো। কেউ যখন পথ হারায়, তখন এমন সব কথা বলে। ডানদিকে যাওয়ার থাকলে বাঁদিকে হাত দেখায়।

Leave a Reply