ASANSOL

আসানসোল ও দূর্গাপুর – বর্ধমান কেন্দ্রের প্রার্থী প্রচারে তৃনমুল নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেল

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বর্তমানে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, গোঁসাই ও পাগলরা ঠাকুরবাড়ির নাম শুনলেই এখন ক্ষেপে যায়। আমিও একটা সময় ওদের সাথে জড়িত ছিলাম। কিন্তু তারা মানুষের জন্য কিছু করেনি। প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর থেকে, শান্তনু ঠাকুর, মমতা বালা ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুর। এরা সবাই কোন না সময় সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়ক ছিলেন বা এখনও আছেন। তাদের সমস্ত কিছু এই ঠাকুরবাড়িকে ঘিরে। আর সমাজের মানুষ মাঠে-ঘাটে ঘোরে। আমাদেরকে বেচাকেনার মত করে তাদের মতো করে ভোগ করে। তারা রাজপ্রাসাদে থাকে নিজের মতো করে। একটা মানুষ বিপদে পড়লে তো দাঁড়ায় না। একটা মানুষের জন্য কোনদিন তো বলে না ঠাকুরবাড়ির পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা দিলাম মেয়ের বিয়ের জন্য।

দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে বর্ধমান দূর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেস নমঃশূদ্ধ ও উদ্বাস্তু সেলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার উদ্যোগে নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। সেই নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে এভাবেই রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরকে সহ ঠাকুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নমঃশূদ্ধ ও উদ্বাস্তু সেলের চেয়ারম্যান রঞ্জিত সরকার।এদিনের সভায় নমঃশূদ্ধ ও উদ্বাস্তু সেলের জেলা সভাপতি করা হয় মৈনাক সাহা রায়কে। একইসঙ্গে জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে বৃন্দাবন দাস ও জেলা সম্পাদক করা হয় অশোক রায়কে।

তিনি বলেন, কীর্তি আজাদকে বিপুল ভোট দিয়ে লোকসভার সাংসদ করা হলে মানুষের আওয়াজ তুলে ধরবেন। মানুষের সমস্যার কথাও শুনবেন। দলের সংগঠনের প্রচারে এসে ঠাকুর বাড়ির সদস্য, যারা তৃনমুল কংগ্রেসের মন্ত্রী ও সাংসদ, তাদের বিরুদ্ধে বলছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জিতবাবু বলেন, আমি কিছু বলছিনা না। যা বলছেন তা সাধারণ মানুষ। তার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করছি সমাজের মানুষকে নিয়ে। এদিন তিনি নাগরিকত্ব নিয়ে কেন্দ্রের আনা সিএএ আইন প্রসঙ্গে বিজেপি ও সরকারের সমালোচনা করেন।

Leave a Reply