ASANSOL

আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন লালার, প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

বেঙ্গল মিরর   আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন কয়লা পাচার মামলার মুল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। এদিন সিবিআই আদালতে এই মামলায় তদন্ত করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে।
এদিন সকাল সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ জামিন নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে গাড়িতে চেপে চলে যান। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোন প্রতিক্রিয়া দেননি।


পরে তার আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার মক্কেলকে এদিন আদালত শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছে। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে, তার বাড়ি পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার বাইরে যেতে পারবেন না। তা ৫০ কিলোমিটার বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সিবিআই ও আদালতকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। এদিকে এদিন সওয়াল-জবাবের সময় বিচারক এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন করেন, যে তিন বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচে আছে মামলার অন্যতম মুল অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে এতদিন আপনারা কি করেছেন।
ইতিমধ্যেই আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আগামী ২১ মে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিয়ে চার্জ গঠন করে, ট্রায়াল শুরু করতে হবে।
এখন দেখার এই মামলায় নতুন কি তথ্য বেরিয়ে আসে।

One thought on “আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন লালার, প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

  • পীযুষ বেরা

    সিবিআই ,ইডির কার্য্যকলাপ যে সন্দেহজনক,সেটা সরল বাঙালিরা সবাই জানে।কারণ,এত চুরি সামনে ধরা পড়ে ও বাংলার বর্তমান শাসক শয়তান মমতা ব্যানার্জি ও তার পরিবার কি ভাবে-কোন আইনে দিব্যি সেভে আছে?যাদের বে আইনি সম্পত্তির তদন্তের জন্য সিবিআই,ইডি এই বাংলায় ঘাঁটি গেড়েছে,যার চুরির পরোক্ষ দোষে এই রাজ্যের শিক্ষা,খাদ্য বিভাগ টাই জেল হেপাজতে,যার শাসনের অপপ্রয়োগে রাজ কর্মচারিরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত,যার চুরির কৌসলে আজ কয়েক হাজার(প্রায় এক লক্ষ) কর্মরত শিক্ষক বলি হতে চলেছে,যার শাসনে অযোগ্য দের পন্ডিত বানানো হয়েছে,যার 13 বছরের শাসক সার্ভিসে নিজের ও পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কয়েক লক্ষ কোটি তে পৌঁচেছে,যার হুমকিতে রাজ্যের আইন ও প্রশাসন চটি চাটার কাজ করে, যার বলনে মহিলা ধর্ষণ মামুলি ব্যাপার,যার প্র্তক্ষ ও প্রচ্ছন্ন নির্দেশে ও মদতে বাংলার মাতৃরূপা মা বোনেরা দিন রাত শ্লীলতাহানি ও ধর্ষনের স্বীকার,যার মদতে জাতীয় সড়ক ক্রমশঃ সংকুচিত ও বেদখল,যে রেশন,গরু,কয়লা,বালি,মাটি,সাস্থের সরঞ্জাম,চাকুরি,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা,পায়খানা ঘরের টাকা,100 দিনের জব কার্ড ও পরিশ্রমীক,রাস্থার নলবাহিত জলের পাইপ ইত্যাদি চুরি করায় ও কাট মানি(তোলার 100 টাকার 75 টাকা)শোষণ করে সেই মমতা ব্যানার্জি ও তার পরিবারের সদস্য সহ তাকে বাঁচাতে এই সিবিআই ও ইডি অনেক চেস্ঠা করেই চলেছে! তার প্রমাণ এই রাজ্যবাসীর সামনে।যেখানে কেজরিওয়াল সহ গোটা ভারতের করাপ্টেড রা জেলবন্দি,সেখানে তাদের থেকে 1000গুন চুরির দায়ে চিহ্নিত থেকেও মমতা ব্যানার্জি গলাবাজি করে ভারতের সংবিধানের কোন আইনে? এই সিবিআই,ইডি কে কাটমানি খাইয়ে মমতারা নির্দোষ প্রমাণ করছে। নিত্যান্ত বাঙালি সমাজ খুব ভদ্র ও সহনশীল বলেই এই সিবিআই,ইডি র মত তদন্তকারি সংস্থার তৈরি করা(কাট মানি লালসা)গল্প হজম করছে।সিবিআই,ইডি র জানা উচিৎ,আইন অমান্য দিয়ে ইংরেজ তাড়ানোর সূচনা এই পশ্চিমবাংলার নাগরিক সমাজ করেছিল।তখন কোন নকল বুদ্ধিজীবী বলে কেউ ছিল না।মানুষ ই যৌথ ভাবে সক্ষম ও সফল ছিল।তাই সাবধান,বিচারের বানি কে নীরবে নিবৃতে কাঁদতে দেবেন না,আইন কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন,যাতে চোরেদের বিনাশ ও ধংস হয়।

    Reply

Leave a Reply