চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের প্যাথলজি রুম এর ভেতর থেকে এক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের প্যাথলজি রুম এর ভেতর থেকে এক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার এর ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চিত্তরঞ্জন
শিল্পাঞ্চলে। শনিবার সকাল
তার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।




জানাজায় মৃত কর্মীর নাম কৃষ্ণ মুরারি সিং
(৫৯)। তিনি এই হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের একজন কর্মী ছিলেন। সামনের জুলাই মাসেই চাকরি থেকে তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। জানা গেছে গতকাল, ৩১ মে দু’জন রোগীকে রক্ত দেওয়ার
প্রয়োজনে তিনি রাত আটটা পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন। সাধারণত বিকেল পাঁচটায় কাজ সেরে তিনি বাড়ি ফিরে যান। এরপর রাত আটটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন শহরের এরিয়া থ্রি অঞ্চলের ১৫ নম্বর
রাস্তার কোয়ার্টার্সে ফিরে বাড়িতে বলেন এমার্জেন্সি
ডিউটি আছে রাতে হাসপাতালে যেতে হবে।
এই কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। রাতে বাড়ি
থেকে তাকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।রাতেই বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখেন প্যাথলজি রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।এরপর রাতের মত খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে আজ সকালে তারা কৃষ্ণ মুরারি বাবুর এক সহকর্মীকে বিষয়টি জানান।সকাল ছ’টা নাগাদ তারা গিয়ে দেখেন প্যাথলজি
রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, ডাকাডাকি করেও
কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর হাসপাতালের
ভেতরের অন্য রুম দিয়ে প্যাথলজি বিভাগের দরজা
খুলে তারা ভেতরে ঢুকে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেতে কৃষ্ণ মুরারি বাবু পড়ে আছেন। অনেক আগেই তার মৃত্যু ঘটেছে বলে তারা বুঝতে পারেন। জানা গেছে প্যাথলজি রুমের চাবি কৃষ্ণ মুরারি বাবুর কাছেই থাকে। সেই চাবি খুলেই সম্ভবত রাতে তিনি সেখানে ঢোকেন এবং তারপর এই অঘটন ঘটে।
তিনি সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। তার বড় ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত। আরেকটি ছেলে বাইরে চাকরি করেন। সামনেই অবসর, তার আগে বেশ কিছুদিন ধরে কৃষ্ণ মুরারি বাবু চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন বলে তার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গেছে। সম্ভবত মানসিক অবসাদের কারণেই তিনি চূড়ান্ত পরিণতির পথ বেছে নিলেন বলে তারা অনুমান করছেন। দেহের ময়না তদন্তের পর পরিষ্কার হবে কিভাবে তার মৃত্যু হল।