পুলওয়ামা হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী পালন, শহীদদের শ্রদ্ধায় আসানসোল এইচএলজি হাসপাতালে রক্তদান শিবির
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ মানুষ বা মানব শরীরে রক্তের কোনো বিকল্প নেই। প্রতি দুই সেকেন্ডে কারো না কারোর রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন ৩৮ হাজার ইউনিটের বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়।
একইভাবে, প্রতি বছর মোট ৩০ মিলিয়ন রক্তের উপাদান স্থানান্তরিত হয়। দুর্ঘটনাজনিত আঘাতের সময় প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়। চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে, আমাদের রক্তের প্রয়োজন হয়।
দুর্ঘটনাজনিত আঘাত, পোড়া, হেমোরেজিক, অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া, থ্যালাসেমিয়া এবং হেমোলাইটিক রোগের মতো রোগের চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়।




রক্তদানের উপকারিতা, যেমন জীবন বাঁচানোর ক্ষমতা, সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সুবিধা এবং মানসিক পুরষ্কার। রক্তদান করা সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক। বছরে অন্তত একবার রক্ত দান করা আপনার রক্তের প্রবাহ উন্নত করতে এবং ধমনীতে বাধা কমাতে সাহায্য করতে পারে। রক্তদান ত্বক সম্পর্কিত ব্যাধি বা অসুখ কমাতে পারে।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার ঘটনা ঘটে। এই বছর সেই হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী পালন করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে ৷ এই উপলক্ষে এদিন আসানসোল এইচএলজি হাসপাতাল বার্নপুর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার কমিটি ভলেন্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স এবং আসানসোলের রোটারি ক্লাবের সহযোগিতায় এইচএলজি হাসপাতালে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। যেখানে অনেক কর্মী , ডাক্তার ও নার্স অংশগ্রহণ করেন৷ ৪৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয় এদিনের এই রক্তদান শিবির থেকে।
এই প্রসঙ্গে এইচএলজি হাসপাতালের ডিরেক্টর অভিষেক গুপ্তা বলেন, এই ধরনের রক্তদান শিবির বছরে দুবার আয়োজন হয়। এইচএলজি হাসপাতাল কতৃপক্ষ সবসময় এই ধরনের সামাজিক কাজ করে জীবন বাঁচাতে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
আসানসোলের রোটারি ক্লাবের সভাপতি অভয় জয়ন্ত বলেন, আমরা এই ধরনের কাজে অংশ নিতে পেরে খুব গর্বিত। আসানসোলের রোটারি ক্লাব সবসময় দুঃস্থ ও অসহায় লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনেও তার কোন ব্যতিক্রম হবে না।
রক্তদান শিবিরে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পূরবী তানেজা ( সিনিয়র ম্যানেজার), এস আর দত্ত ও এস চট্টোপাধ্যায় ( এ্যাডমিনিস্ট্রেটার)।