ASANSOL

আসানসোলে অসুস্থ একই পরিবারের ১৮ জন, ভর্তি জেলা হাসপাতালে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Asansol News In Hindi ) বাড়িতে দই-চিঁড়ে খেয়ে খাদ্য বিষক্রিয়া। আর তাতে অসুস্থ হলেন একই পরিবারের ১৮ জন সদস্য। আসানসোল উত্তর থানার কাঁখোয়া গ্রামে শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। ১৮ জনের মধ্যে ১ জন নাবালিকা, ১ জন কিশোর, ৭ জন মহিলা ও ৯ জন পুরুষ আছেন। তাদের এক কিশোরী সহ তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১৫ জন আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রবিবার আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যের পরে যখন ১৮ জনকে যখন অসুস্থ অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো, তখন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো।

হাসপাতালে পরিবারের তরফে বলা হয়েছিলো, শনিবার দুপুরে তারা বাড়ি দই-চিঁড়ে খেয়েছিলেন। তারপর থেকে তাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারোর বমি ও কারোর পায়খানা শুরু হয়। যে কারণে ১৫ জনকে ১ নাবালিকা সহ ১৫ জনকে ফিমেল মেডিকেল ওয়ার্ড, মেল মেডিকেল ওয়ার্ড ও চাইল্ড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিলো। আপাততঃ তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে এদিন জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দই-চিঁড়ে খাওয়ার কারণে তাদের ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া হয়েছে। ঐ খাবারের মধ্যে কিছু ছিলো। যে কারণে তাদের এটা হয়েছে।


যে ১৫ জন জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের নাম হলো তারক চট্টোপাধ্যায় (২৭), পাপিয়া চট্টোপাধ্যায় (২৩), মন্দিরা চট্টোপাধ্যায় (২৮), শাশ্বতী চট্টোপাধ্যায় (৩২), নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় (১১), রজত চট্টোপাধ্যায় (২৮), মানসী চট্টোপাধ্যায় (২৫), রাজেশ চট্টোপাধ্যায় (২৯), সোমা চট্টোপাধ্যায় (২৫), সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (২৫), রুপম চট্টোপাধ্যায় (৩৬), রাকেশ চট্টোপাধ্যায় (৩৭), পার্থ চট্টোপাধ্যায় (৪৬), সরহনাথ চট্টোপাধ্যায় (২৬) ও বর্ষা গাঙ্গুলি (২২)।
আরো জানা গেছে, আসানসোলে কাঁখোয়া গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের এক আত্মীয় মারা গেছেন। তাই নিয়ম মতো পরিবারের সকল সদস্যরা শনিবার দুপুরে বাড়িতে দই-চিঁড়ে খেয়েছিলেন। তারপরেই এই বিপত্তি ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *