জামুড়িয়ার গৌরব জুয়েলার্স ১০০ বছর পূর্তি উদযাপন, গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার
বেঙ্গল মিরর, জামুরিয়া, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া বাজারের ” গৌরব জুয়েলার্স”র বৃহস্পতিবার ১০০ বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে দোকানের কর্ণধার প্রদীপ কেশরী বলেন যে, দাদা হুরো লাল মণিলাল কেশরী এবং তার ছেলে ১৯২৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত, অর্থাৎ ১০০ বছর ধরে, গৌরব জুয়েলার্স জামুরিয়া এবং আশেপাশের এলাকার মানুষের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ।




প্রদীপ কেশরী আরো বলেন, এই ১০০ বছরে, গৌরব জুয়েলার্স কেবল জামুরিয়া নয়, আশেপাশের এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। গ্রাহকদের ভালোবাসা এবং তাদের পাশে থাকার কারণে আজ গৌরব জুয়েলার্স এই জায়গায় এসেছে। আসানসোলে অভিনব গিনি হাউস, অভিনব জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি হাউস এবং অভিনব জুয়েলারি হাউস নামে আরও তিনটি প্রধান শাখার মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে । তিনি বলেন, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের শিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। যে কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন যে এখন তার ছেলে গৌরব কেশরী, অভিনব কেশরী এবং উজ্জ্বল কেশরী কেবল এই পারিবারিক ঐতিহ্যকেই এগিয়ে নিচ্ছে যাচ্ছে। তারা বরং এতে আধুনিকতারও ছোঁয়া এনেছে । এই শতবর্ষ উদযাপন উদযাপন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় অফারও চালু করা হয়েছে।
গৌরব কেশরী গর্ব করে বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের দ্বারা শুরু করা এই ব্যবসাটি গ্রহণের সুযোগ আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমরা এই ঐতিহ্যকে একইভাবে অব্যাহত রাখতে চাই যেভাবে আমাদের পূর্বপুরুষ এবং বাবা এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন।
কাকার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে প্রদীপ কেশরী বলেন যে, একসময় আমার কাকা আর বাবা একসাথে গৌরব জুয়েলার্স চালাতেন। এখন তাঁর আশীর্বাদে, তিনি এবং তাঁর ছেলে এই দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, আমাদের দোকানে যারা আসেন তারা কেবল আমাদের গ্রাহক নন, বরং আমাদের পরিবারের অংশ। তাদের সেবা করা আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য। স্থানীয় জনগণ এবং গ্রাহকরা বিপুল সংখ্যক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও তারা গৌরব জুয়েলার্সের প্রশংসা করেন। গৌরব জুয়েলার্স তার শতবর্ষ যাত্রায় আস্থা, গুণমান এবং গ্রাহক সেবার প্রতি তাদের অঙ্গীকার করেছে বলে তারা বলেন ।