DURGAPUR

রোগীর সঙ্গে দেখা না করতে দেওয়াই 3 রাউন্ড গুলি !

চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ায় শুন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ, গ্রেফতার চার

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী/ রাজা বন্দোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছিলো না বলে অভিযোগ ছিলো। তার পরে রোগীকে ও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয় নি। যা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। তা থেকেই হাসপাতাল চৌহদ্দির মধ্যেই আচমকা রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থাকা ছেলে পিস্তল থেকে শুন্যে পরপর গুলি চালালো বলে অভিযোগ । শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটলো দুর্গাপুরের বিজোনের শোভাপুরের কাছে বেসরকারি একটি হাসপাতালে। শুক্রবার রাতের ঘটনাকে উত্তেজনা ছড়ালো দুর্গাপুরে। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করছে এই গুলি চালানোর ঘটনায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তিন রাউন্ড গুলি চলেছে। তাদের আরো দাবি হতেই পারতো বড় কোন দুর্ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকাল থেকে। বাসুদেব পাল নামে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অঙ্গদপুর এলাকার এক বাসিন্দা, মোটর বাইক থেকে পড়ে গিয়ে জখম হন। প্রথমে তাকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি বছর ৬৮ র বাসুদেব পালকে শোভাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে বাসুদেব বাবুর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হতে শুরু করে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছে না। সেই মতো তারা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও তত্ত্বাবধানে থাকে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলবেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর আত্মীয়দের দাবি মেনে দুজনকে অনুমতি দেয় কথা বলার জন্য। কিন্তু রোগীর পরিবারের দাবি ছিলো, সবাইকে দেখা করতে দিতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য। দফায় দফায় তারা বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছায়। পুলিশ রোগীর আত্মীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করে। সেই সময়, আচমকাই রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে থাকা তার ছেলে হাসপাতাল চৌহদ্দির মধ্যে শুন্যে দু রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি গুলি চলেছে তিন রাউন্ড। সেই সময় হাসপাতালে থাকা এক পুলিশ কর্মীকেও হেনস্তা করেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা । তড়িঘড়ি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি সুবীর রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে পৌঁছায়। প্রথমে রোগীর ছেলে সহ আটক করা হয় চারজনকে। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকেই বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটি।
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে সেটার বৈধ কোনো লাইসেন্স আছে কিনা। তবে, রোগীর পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, ঐ আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স আছে। কিন্তু বৈধ লাইসেন্স থাকলেই কি, যেখানে সেখানে গুলি চালানো যায়।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *