চিত্তরঞ্জনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রেলকর্মীর মৃত্যুতে উঠছে নানা প্রশ্ন, মিললো সুইসাইড নোট
বেঙ্গল মিরর, চিত্তরঞ্জন ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* রেল শহর চিত্তরঞ্জনের নর্থ এলাকার ৬৪ নম্বর রোডের ২৫/বি কোয়ার্টারের ভেতরে একটা ঘরের মধ্যে বিছানায় রবিবার রাতে পাওয়া যায় রেলকর্মী প্রদীপ চৌধুরীর গুলিবিদ্ধ দেহ। সেই দেহের পাশে পড়ে ৭.৬৪ মিমি পিস্তল ও গুলির খোল। আর বালিশের নিচে ছিলো এক টুকরো কাগজ। যা মনে করা হচ্ছে সুইসাইড নোট। যদি ঐ কাগজের লেখা নিয়ে পুলিশ কোন মন্তব্য করতে চায়নি। কয়েক লাইনের সেই লেখাই যেন উন্মোচন করছে ৬ মাস আগে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার রহস্যের জট।সেই নোটে প্রদীপবাবু তার ছেলেকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “তোর মায়ের অনেক ডিমান্ড ছিল, তাই তাকে মারতে হল। এই বছরের ৪ এপ্রিল প্রদীপ চৌধুরী স্ত্রীর খুন হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় প্রদীপবাবু ছিলেন পুলিশের সন্দেহের কেন্দ্রে। সেই ঘটনার যেন প্রদীপবাবুর স্বীকারোক্তি মেলে এই লেখায়।তবে এই ঘটনার পর উঠছে আরো একটা প্রশ্ন।



যে পিস্তলের গুলি দিয়ে প্রদীপবাবুর মৃত্যু হয়েছে, সেটি এল কোথা থেকে? প্রদীপবাবুর ভাই নারায়ণ চৌধুরী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “দাদা নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার মতো মানুষ কোনোদিনই ছিলেন না।” এই বক্তব্য থেকেই শহরবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা। যদি একজন সাধারণ মানুষ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পেয়ে যান, তাহলে চিত্তরঞ্জনের বুকে আরও কত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা ভাবার বিষয়।উল্লেখ্য, মৃত প্রদীপ চৌধুরী চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বা সিএলডব্লুর কর্মী ছিলেন।
অন্যদিকে, পুলিশ ও আরপিএফ রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই বাহিনীর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এমন অস্ত্র রেল শহরে আসছে , সেই প্রশ্নও এখন বড় হয়ে উঠছে। গোটা ঘটনা নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি ( কুলটি) জাভেদ হুসেন বলেন, সোমবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে রেল কর্মীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে রেল কর্মী নিজেই পিস্তল থেকে মাথার ডানদিকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পিস্তল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।