আসানসোলে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিদ্বজনদের মিছিল ও পথসভা
আসানসোল, ৪ ঠা জানুয়ারী , ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: জাতীয় নাগরিকপঞ্জী ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সমগ্র দেশে বিজেপি বিরোধী শক্তি এযাবৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আর ঠিক এই সন্ধিক্ষণে পথে নামল আসানসোলে শিল্পাঞ্চলের বিদ্বজ্জনেরা তথা বুদ্ধিজীবীরা।
শুক্রবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে জমায়েত হয়ে তাদের মিছিল আসানসোল কোর্টের সামনে বিদ্যাসাগরের মূর্তি পর্যন্ত গিয়ে আবার সেখান থেকে আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে ফিরে আসে।
পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আসানসোল বাংলা একাডেমির সম্পাদিকা এবং শিক্ষিকা শ্রীমতী আল্পনা ব্যানার্জী। তার সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষিকা সুবর্ণা রায়কেও দেখা যায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে রবীন্দ্র ভবনের সামনে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পথসভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসার রামদুলাল বসু , বিধান চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, আইনজীবী শেখর কুন্ডু, সমিপেন্দ্র লাহিড়ী, অমল বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ একাধিক বিদ্বজ্জন ।
উপস্থিত ছিলেন গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সন্দীপ ঘটক, আইনজীবী অসিত নায়েক, আইনজীবী মুনির বেগ সহ আসানসোল কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত বহু আইনজীবী , জাতীয় শিক্ষক ডক্টর সুশীল ভট্টাচার্য, বাংলা একাডেমি এবং বাংলা পক্ষের সদস্যগণ, চিত্রশিল্পী, লেখা লেখিকা, মনিমালা এবং এথরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা, উর্দু এবং হিন্দি একাডেমির সেক্রেটারিরা।
এদিকে চিকিৎসকদের মধ্যে থেকে ছিলেন ড: ডি.পি.রায়, ড: প্রদীপ মুখার্জি, ড: দিব্যেন্দু চক্রবর্তী, ড: বিদ্যুৎ ব্যানার্জী, ড: সজ্জন সিং প্রমুখ আরো অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক।
আইনজীবী শেখর কুন্ডু এই CAA এবং NRC আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন,”১৯৩৫ সালে জার্মানিতে NRC আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে প্রথমে নাগরিকত্ব দেবার কথা বললেও পরে জার্মানির নাৎসিদের দ্বারা ইহুদীদের ওপর যে নীয়মের বেড়াজাল এবং শর্তারোপ করা হয় তাতে ইহুদীরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হন এবং তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে হয়। আর এই আইন ভারতে প্রণয়ন করার পর একইরকম প্রতিকূলতা বিভিন্ন ভাবে দেখা দিতে পারে। তিনি আরো বলেন যে, বিভিন্ন জনের বয়ানে বিস্তর ফারাক রয়েছে কারণ একজন বলেছেন এই আইনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কিন্তু আরেকজন বলছেন হয়নি ।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
এছাড়া তিনি বলেন ইচ্ছে করেই সরকার অনুপ্রবেশকারী হঠাতে ফরেনার্স অ্যাক্ট এর সাহায্য না নিয়ে CAA নামক আইয়ন প্রণয়ন করেছেন। কারণ ফরেনার্স অ্যাক্টের সাহায্য নিলে এই ব্যাপার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন হবে যা সরকার চান না।” সঙ্গে আরো বিভিন্নভাবে আইনগত দিক তিনি বিশ্লেষণ করেন।