ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali NewsBihar-Up-JharkhandKULTI-BARAKARWest Bengal

কল্যানেশ্বরীর সূর্য নিবাস হোটেল থেকে বিহারের ৬জন অপহরণ কারি ধৃত

বেঙ্গল মিরর, মনোজ শর্মা,সালানপুর:-

বিহারের শশীকুমার সিং,দীনেশ কুমার,বিকাশ কুমার সিং,সুধীর প্রাসাদ, অনিল কুমার, আশুতোষ কুমার নামক ৬জন অপহরণকারী
কে কল্যানেশ্বরীর সূর্য নিবাস হোটেল থেকে কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করলো মাইথন থানার পুলিশ।
অপহরণকারীদের কাছে থেকে একটি সুইফ্ট ডিজার(UP14HT
577)স্কুইড (BR02AE1361)দুটি গাড়ি সহ ৭টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে রবিবার বিকেলে বিহারের কাইমুর জেলার বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার সিং(৩২)নামক এক ব্যাক্তির অপহরণ করে নিয়ে এসে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির অন্তর্গত কল্যানেশ্বরী অঞ্চলের সূর্য নিবাস হোটেলের একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়।
সোমবার দিন ভোর বেলায় সঞ্জয় কুমার সিং আফরণকারদেরকে চোখে ফাঁকি দিয়ে হোটেল থেকে পালিয়ে মাইথন ড্যাম পৌঁছায়,
মাইথন ড্যামের সিআইএসএফ জাবানকে তার সমস্ত ঘটনা জানান খুলে বলেন।
সঙ্গে সঙ্গে সিআইএসএফ জাবান দ্বারা মাইথন থানার পুলিশকে ঘটনা প্রসঙ্গে সূচনা দেওয়া হয়,
তারপর মাইথন থানার পুলিশ সঞ্জয় কুমার সিং কে সঙ্গে নিয়ে তার নকশাদ্বারে চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির সহযোগিতায় সূর্য নিবাস হোটেলে হানা দিয়ে ৬জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এইদিকে সঞ্জয় কুমার সিং এর স্ত্রী আশা দেবী ৬জন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে অপহনের মামলা
দায়ের করেন।
ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সঞ্জয় কুমার সিং বলেন আমরা কয়েকজন মিলে আমি ৩লক্ষ টাকা দিয়ে পার্টনারশিপে ব্যাবসা শুরু করে ছিলাম,কিন্তু তারা আমার সাথে জালিয়াতি করে এবং আমার দেওয়া টাকা হজম করে নেয়,বারবার আমি টাকা চাইলে আমাকে প্রাণে মারার ধমকি দেয় তারা তাছাড়া যে কোম্পানিতে আমরা ঠিকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করছিলাম সেই কোম্পানির বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করে দেয় তারা,এই চুরির ঘটনা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কে জানিয়ে দিবার কথা বললে তারা আমার সাথে শত্রুতা করে নেয়।
হটাৎ ১৪ই আগস্ট দিনে আমাকে তারা ডাকেন এবং সুইফ্ট ডিজার গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে আমাকে অপহরণ করে নেয়
দু দিন বিভিন্ন স্থানে নিয়ে নিয়ে ঘুরে তারা,অবশেষে ১৬ তারিখ বিকেলে আমাকে মাইথনের সূর্য নিবাস হোটেলে নিয়ে এসে একটি রুমের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয় এবং মারধর করে।আমার স্ত্রীকে ফোন করে ৫লক্ষ টাকা চাই তারা,
আমার স্ত্রী ১৫ তারিখে ৫০হাজার টাকা তাদের ব্যাংকের একাউন্টে
মধ্যে দেয়।এবং বাকি টাকা নিয়ে সূর্য নিবাস হোটেলে আসতে বলা হয় কিন্তু ১৭তারিখ সোমবার ভোর বেলায় তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে আমি পালিয়ে যায় এবং
পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে সব খুলে বলি পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে এবং প্রাণ রক্ষা করে।
এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় কুমার সিং এর স্ত্রী আশাদেবী বলেন ১৪তারিখে হটাৎ এক ব্যাক্তি ফোন করেন এবং বলেন আমার স্বামীকে তারা অপহরণ করে ৫লক্ষ টাকা দাবি করেন।
আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ এত টাকা কোথায় পাবো ৫০ হাজার টাকা তাদের একাউন্টে আমি তাদের দি কিন্তু কাল হটাৎ আমাকে সূর্য নিবাস হোটেল থেকে কোনো এক হোটেল ম্যানেজার ফোন করেন এবং আমাকে বলেন তারা স্বামীকে অপহরণকারীরা নিয়ে এসে সূর্য নিবাস হোটেলে রেখেছে,তারা সোমবার সকাল ৯টার রুম ছেড়ে চলে যাবে, তার আগে যেনো হটোলের সামনে আমি চলে আসি,তারা অপহরণকারীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে আমার স্বামীকে হোটেলের বাইরেবের করে দেবেন কিন্তু তার আগে আমার স্বামী হোটেল থেকে পালিয়ে যায়।
এই জায়গায় প্রশ্ন একটাই যে যদি হোটেল ম্যানেজার আগে থেকে জানতো তাদের হোটেলে অপহরণকারীরা এক ব্যাক্তিকে বন্দি করে রেখেছে তবে কেনো স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হলো না,তবে কি এই ঘটনায় হোটেলের কেউ জড়িত।
কল্যানেশ্বরী অঞ্চলে এমনিতেই দেহব্যবসা নিয়ে বদনাম রয়েছে তার উপর কিছু টাকার লোভে অপহরণকারীদের স্থান দেওয়া হচ্ছে হোটেল গুলিতে।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাইথন থানার পুলিশ।

Leave a Reply