খনিজের জায়গায় উত্তরবঙ্গের চা শিল্প নিয়ে অভিনব এক প্রজেক্ট চা সঙ্গী
বেঙ্গল মিরর, বিজু মন্ডল,আসানসোল :মরুভূমিতে সোনা ফলানো যায়,তবে চেষ্টা থাকলে।উত্তরবঙ্গের স্বাদ থাকতে চলেছে দুর্গাপুরে।অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রিয়াল জায়গাতে উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় ফসল চা এর স্বাদ। বিষয়টাই অনেকটা আলাদা। দুর্গাপুর মানেই আসানসোলের অংশ। আসানসোল বিখ্যাত কয়লার খনির কারণে। মাটি খুঁড়ে কয়লার খনি।যা দিয়ে হয় কোহিনুরও।তবে এখন দুর্গাপুরের মাটিতে আসতে চলেছে চা এর ফ্লেভার।
‘চা’ এমনই এক জিনিস, যা খেতে না করেন না কেউই।চা খেলে এনার্জির সাথে সাথে ভালো লাগার ব্যাপারটাও বিরাজমান।দার্জিলিং-এর চা জনপ্রিয় বিশ্বজুড়ে। পাশাপাশি দুর্গাপুর তথা আসানসোল খনিজ শিল্পের পরিচয়ে বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। আর খনিজ এর জায়গায় জনপ্রিয় চা এর ব্যবসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো রাজ্যবাসী অনুভব করতে পারছেন। খনিজের জায়গায় উত্তরবঙ্গের চা শিল্প নিয়ে অভিনব এক প্রজেক্ট আনতে চলেছেন দুর্নীতি বিরোধী দপ্তরের সভাপতি তথা ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদের উপদেষ্টা ডঃ বিদ্যুৎ পোদ্দার। প্রজেক্টের নাম ‘চা সঙ্গী’! নাম শুনেই ধারণা করা যাচ্ছে চা এর পার্টনার(বন্ধু)। আসানসোল-দুর্গাপুরের মত জেলায় চা সঙ্গীর প্রজেক্ট যা ৫০০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আত্মনির্ভর করতে সাহায্য করবে। খনিজের সাথে চা,দুই ভিন্ন ধরনের ব্যবসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের বাংলা গড়তে আরও সাহায্য করবে।এমনটাই ধারণা দুর্গাপুরবাসীর।
উত্তরবঙ্গ থেকে চা তুলে দুর্গাপুরে নিয়ে এসে তা দুর্গাপুরের কারখানায় প্যাকেজিং করে বিদেশে রপ্তানি করা হবে। দুর্গাপুরে ৩০০০ মহিলারা কাজ করবেন। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে চা জমিতে ২০০০ মহিলারা চা তোলার কাজ করবেন। এই প্রজেক্টের কর্ণধার হলেন বিদ্যুৎ পোদ্দার।তাঁর মূল উদ্দেশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন পূরণ করা। তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন সত্যি করতে ‘চা সঙ্গী’। বিদেশে উত্তরবঙ্গের চা এর চাহিদা প্রচুর, যার কারণে বিদেশে চা ব্যাগ প্যাকেজিং এর রপ্তানি খুব ভালো মতনই সাড়া ফেলবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ ও দুর্গাপুর টাউন জেলার নাম অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি বিদ্যুৎ বাবুর।
এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে আলোচনা করবেন খুব শীঘ্রই। পাশাপাশি দুর্গাপুরের এসডিএম এর সাথে ‘চা সঙ্গী’ প্রজেক্ট শুরু করার সমস্ত রকম আলোচনা হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই দুর্গাপুরে চা সঙ্গী প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে।
আরও সূত্রের খবর, ‘চা সঙ্গী’ প্রজেক্টের সাথে বিদ্যুৎ বাবু চা প্যাকেজিং এর থেকে যেসমস্ত চা এর অংশ ফেলা যায়, তা দিয়ে সাবান, শ্যাম্পু, কনডিশনার, তেল তৈরি করার ব্যবস্থা করছেন। যা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে উৎপাদন করা হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে চা এর ফেলে দেওয়া অংশ নিয়ে তা দিয়ে সাবান, শ্যাম্পু, কনডিশনার তৈরির কারণ আরও কর্মী নিয়োগ করা। যা শুধু দুর্গাপুর কিংবা উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী নিয়োগ করা হবে।