ASANSOLBengali NewsHealthWest Bengal

পশ্চিমবঙ্গের ESI হাসপাতালগুলি সেরা সম্মান পেতে চলেছে

পরপর চতুর্থবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে
পশ্চিমবঙ্গের ESI হাসপাতালগুলি সেরা সম্মান পেতে চলেছে
Moloy Ghatak File Photo

বেঙ্গল মিরর, কলকাতা,রাজা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় : এবার নিয়ে পরপর চতুর্থবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ESI হাসপাতালগুলি পরিচালিত নিগম সেরা সম্মান (AWARD) পেতে চলেছে। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্মান পশ্চিমবঙ্গের হাতে তুলে দেবে  বলে রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক (MOLOY GHATAK) এই  জানান । তিনি বলেন ই এস আই এর কেন্দ্রীয় সরকারের যে কর্পোরেশন বা নিগম আছে তারাই বিভিন্ন দিক থেকে বিচার করে সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ইএসআই এর তেরোটি হাসপাতালে সার্বিক পরিষেবা দেওয়া কর্পোরেশন বা নিগমকে  সেরা সম্মান  পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

এখানে পুরস্কার বাবদ  অর্থ পাওয়া যায়। এছাড়াও তিনি জানান গত বছর সারা দেশের মধ্যে ই এস আই এর ৫০০ শয্যার হাসপাতাল গুলির প্রতিযোগিতায় মানিকতলা এবং ২৫০ শয্যার হাসপাতালগুলির  মধ্যে প্রতিযোগিতায় শিয়ালদার ইএসআই হাসপাতাল সেরা সম্মান পেয়েছিল।  মলয় বাবু বলেন কেন্দ্রীয় সরকার যখন তাদের সমস্ত নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে, একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বন্ধ করছে, তখন এই রাজ্যের ই এস আইএর তেরোটি হাসপাতালে সতেরোশো কর্মী শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে।

আসানসোলের ইএসআই হাসপাতাল কলকাতার পরে চিকিৎসা পরিসেবাতে এখন দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান বাম জমানায় একশটি শয্যা ছিল আসানসোলে ই এস আই হাসপাতালে। যেখানে   গড়ে চল্লিশ জনের বেশি কখনোই রোগী ভর্তি থাকতেন না ।আসানসোল ই এস আই হাসপাতালের সুপার অতনু ভদ্র মন্ত্রীর কথায় সাই দিয়ে জানান সেই সময় গড়ে ৪০ জন রোগী থাকলেও এখন আড়াই গুন বেশি রোগী থাকেন। আরো ৫০ টি শয্যা বাড়তে চলেছে।  সুপার জানান  কোভিডের সময় আমরা সমস্ত ধরনের চিকিৎসা এমনকি অস্ত্রপ্রচার করেছি । চোখ সংক্রান্ত  ৫০ টির  বেশি অস্ত্রপ্রচার। হয়েছে।  এছাড়াও যদি কোনো বড় ধরনের অস্ত্রোপচার কারোর চোখে দরকার হয় যা এখানে হয় না সেক্ষেত্রে আমরা   দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে সাথে চুক্তি করেছি। সেখানে আমরা পাঠিয়ে দিয়ে থাকি। তিনি বলেন আগে এখান থেকে রোগী পাঠানো হতো দুর্গাপুরে এখন দুর্গাপুর থেকে এখানে রোগী আসছে ।

১৭ টি ডায়ালিসিসের জন্য শয্যা বাড়ানো হলো

মন্ত্রী জানান আমরা এই হাসপাতলে কিছুদিন আগেই  ডায়ালিসিস ওয়ার্ড চালু করেছিলাম এগার শয্যার। আরো ১৭ টি ডায়ালিসিসের জন্য শয্যা বাড়ানো হলো। শীঘ্রই তা চালু হবে। এছাড়া আলট্রাসনোগ্রাফি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি সহ অত্যাধুনিক যন্ত্র আনা হয়েছে এই হাসপাতালের জন্য। তিনি বলেন  সবচেয়ে বড় কথা এখানে আমাদের বিএসসি নার্সিং কোর্স চালু হয়ে গেছে। আগে ৪০জন ছাত্রী এই কোর্সে আওতায় ছিলেন। এবার সেটা আমরা বাড়িয়ে ৫০  করে ফেলেছি। তিনি বলেন  যখনই  জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে  রক্তের অভাব হয়েছে তখনই এখানকার চিকিৎসক থেকে কর্মী সবাই এগিয়ে এসে রক্ত দান করেছেন। যেমন শনিবারই কুড়ি জন কর্মী এখানকার রক্ত দান করলেন। প্রতিদিন আসানসোলে গড়ে প্রায় তিনশ আউটডোরে রোগী চিকিৎসা হয় এখানে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply