Bengali NewsKULTI-BARAKARPolitics

আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান মন্ত্রী ও জেলা সভাপতির

কুলটি বিধানসভার তৃনমুল কংগ্রেসের বুথ কর্মী সম্মেলন

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, কুলটি বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কর্মী সম্মেলন রবিবার কুলটির মিঠানি সংহতি হলে সম্মেলন হয়। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী তথা জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মলয় ঘটক ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি । কুলটিতে সম্মেলনে বিধায়ক উজ্বল চট্টপাধ্যায় সহ দলের জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন ।


মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, আসানসোল খনি ও শিল্পাঞ্চল বলে পরিচিত । এখানে প্রচুর খনি ও কলকারখানা ছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে হিন্দুস্তান কেবলস, বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের মতো কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তারা দূর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানা বন্ধ করার কথা বলছে। রেল স্টেশন ও ট্রেন বিক্রি শুরু করেছে এই কেন্দ্র সরকার। কয়লা খনিতে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দলেয সব কর্মীদের বলছি আপনারা কয়লা খনির জন্য শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিটি খনিতে গিয়ে কয়লা ” খনি বাঁচাও, মোদি হঠাও ” স্লোগান তুলে আন্দোলনে নামুন ।

রেল বাঁচাও, মোদি হঠাও

তিনি আরো বলেন, দলের তরফে রেলের শ্রমিক সংগঠন দেখেন ভি শিবদাসন ওরফে দাসু। আমি ওকে বলবো এখানে যত রেলস্টেশন আছে সেখানে, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা ও রেলের অফিস সেসব জায়গায় গিয়ে আন্দোলন করতে হবে রেল কর্মীদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে । সেখানেও দাবি তুলতে হবে ” রেল বাঁচাও, মোদি হঠাও”। একইভাবে ইস্পাত শিল্পের ক্ষেত্রে কর্মীদের আন্দোলন করে এই শিল্পকে বাঁচাতে ও বেসরকারিকরণের হাত থেকে রুখতে আন্দোলন করতে হবে । আগামী ভোট পর্যন্ত আমরা প্রধানত এগুলিকে সামনে রেখে শিল্পাঞ্চলে আন্দোলন গড়ে তুলবো সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে।


সম্মেলনে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আচার-আচরণ দেখে কর্মীদের সেই পথেই এগোনো উচিত। কুলটির ক্ষেত্রে বাড়তি কাজটা বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় করছেন ।আমি কখনও তাকে দেখিনি স্করপিও গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বেশিরভাগ সময়ই অন্যের মোটরবাইকে তিনি ঘোরেন। উনি যে জামাটা পড়ে সেটা অত্যন্ত সাধারণ। বিয়ে বাড়ির মতো অনুষ্ঠানে তিনি সেটিই পড়ে যান। আর সাধারন মানুষের সঙ্গে তার যে ব্যবহার তা কিন্তু কুলটির দলের কর্মীদের অনুসরণ করা উচিত।


তিনি আরো বলেন, যদি হঠাৎ কখনো শোনেন ২৫ জন বিজেপিতে যোগ দিলো, তাহলে ওদের কাছ থেকেই জানবেন কাছাকাছি কোন কয়লার ডিপো আছে। সেই কাজ করার জন্য দলে যোগ দিলো। যা আমাদের দলে থেকে ওদের করা যাবে না। আর ওরা এই রাজ্যে ক্ষমতায় নেই। তাতেই দেখুন ঐ দলের নেতাদের গলায় মোটা মোটা সোনার চেন ও হাতে সোনার বালা পড়ে ঘুরছে। তিনি বলেন, কুলটির মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো, তার একটা হচ্ছে জল প্রকল্প । আরেকটা হচ্ছে রাস্তার আলো। দুটি কিন্তু আপনারা পেয়ে গেছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে যেভাবে আগে বিপুল ভোটে কুলটির মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়ে ছিলো, এবারেও সেই চেষ্টাই করবেন।

Leave a Reply