বার্ণপুর আইএসপি কারখানা পরিদর্শনে ইস্পাত মন্ত্রী
লাভজনক করতে আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও দিক নির্দেশ
রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৮ ডিসেম্বরঃ বার্ণপুরের ইস্কো কারখানা বা আইএসপিকে কি ভাবে লাভজনক করে তোলা যায়, তার দিশা দেখিয়ে গেলেন কেন্দ্রের ইস্পাত মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেল বা কেন্দ্রীয় স্টিল ও ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শুক্রবার বাংলা সফরে এসেছেন। এদিন তিনি সবার প্রথম বার্ণপুরের ইস্কো কারখানা বা আইএসপির আধিকারিক ও সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে কারখানা ঘুরে দেখেন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2020/12/pbdcci.jpg?resize=500%2C331&ssl=1)
কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ২.৭ মিলিয়ন টন
তারই মাঝে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, দেশের মধ্যে অন্যতম দুটি লাভজনক ও বড় কারখানা হলো বার্ণপুরের ইস্কো বা আইএসপি ও দূর্গাপুরের ডিএসপি। আমি এদিন দুটি কারখানা ঘুরে দেখবো। তিনি বলেন, ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে বার্ণপুরের আইএসপিকে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই কারখানা উৎসর্গ করেছেন। বর্তমানে এই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ২.৭ মিলিয়ন টন। এই সময়ে দেশে ক্রুড স্টিলের বাজার ভালো। তাই এই কারখানাকে আরো লাভজনক করতে হবে। কারণ যত লাভজনক হবে কারখানা ততই কারখানার কর্মীদের ভালো। লোকাল এমএসএমই যাতে এই কারখানার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, তাও দেখতে হবে।
আমার মন্ত্রী হিসাবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে, এই কারখানার কর্মীদের গড় বয়স ৪০। তাদের কাজ করার ক্যাপাসিটি আছে। এটা একটা ভালো দিক। কর্মীদের এই সময়ে কর্মদক্ষতা বেশী হয়। আমি মন্ত্রী হিসাবে এই কারখানাকে কি ভাবে লাভজনক করে তুলতে হবে, তা বলেছি। কারখানা কতৃপক্ষ যাতে, বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারেন, তাও বলা হয়েছে। আমি কারখানার আধিকারিকদের সঙ্গে এই কারখানার বর্তমানে উৎপাদন ক্ষমতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কর্মী ওয়েলফেয়ার সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি৷
এই কারখানার কর্মীদের দীর্ঘদিনের একটা দাবি হলো বেতন সমঝোতা। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী এদিন বলেন, বৃহস্পতিবারও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা হবে। আগামী বছরের শেষে এটা নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০১৭ সালে কেন্দ্র সরকার যে ইস্পাত নীতি করছিলো তাতে, দেশে এখন ১৪৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্রুড স্টিল উৎপাদন করা হচ্ছে। ২০৩০ সালে তা বেড়ে ৩০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী বলেন, দূর্গাপুরের এএসপি বা এ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট যেমন ডিএসপি চালাচ্ছে। তেমনই চলবে। ঐ কারখানা নিয়ে আপাততঃ নতুন কোন পরিকল্পনা নেই। এএসপি বন্ধ করার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
মন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সেলের চেয়ারম্যান অনিল কুমার চৌধুরী, সেলের ডিরেক্টর টেকনিক্যাল সোমা মন্ডল ও আইএসপির সিইও এভি কমলাকর।