ASANSOLLatest

ফেরার” ঘোষণা করলো বিশেষ সিবিআই আদালত, বিচারকের কাছে হাজিরা না দিলে বাজেয়াপ্ত হবে সম্পত্তি, হুলিয়া জারি

পুরুলিয়ায় লালা ও আসানসোলে সহযোগী রত্নেশের বাড়িতে নোটিশ লাগানো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৪ জানুয়ারিঃ শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলো আসানসোলের সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালত। বারবার নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠানোর পরে হাজিরা না দেওয়ায় বেআইনী কয়লা পাচারের মামলায় মুল চক্রী বা কিং পিন অনুপ মাজি ওরফে লালাকে LALA” এ্যাবসকন্ড ” বা ” ফেরার ” (absconded) ঘোষণা করলো আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। একই তকমা দেওয়া হয়েছে লালার অন্যতম সহযোগী রত্নেশ ভার্মাকে।

১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই দুজনকেই আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হবে

গত ১১ জানুয়ারি ৮২ সেকশান বা ধারায় এই মর্মে একটি নোটিশ জারি করেছেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক জয়শ্রী বন্দোপাধ্যায়। নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই দুজনকেই আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে হাজিরা না দিলে, আইন মোতাবেক তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।


বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের নোটিশ নিয়ে প্রথমে সিবিআইয়ের ৯ জনের একটি দল পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার ভামুরিয়াতে লালার বাড়িতে যায়। সেখানে কেউ না থাকায় সিবিআইয়ের এক অফিসার আদালতের জারি করা নোটিশ বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়া দেন। একইভাবে, এদিন সকালে সিবিআইয়ের ৪ জন অফিসারের একটি দল আসানসোলের কুলটির মিঠানির বড়তোড়িয়ায় রত্নেশ ভার্মার বাড়িতে আসে। সেখানেও সিবিআইয়ের অফিসাররা রত্নেশ ভার্মাকে পায়নি। তবে তার দাদা ও বাড়ির অন্য লোকেরা ছিলেন।

বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ লাগিয়ে দেন

সিবিআইয়ের অফিসাররা তাদের সঙ্গে কথা বলে রত্নেশের বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ লাগিয়ে দেন। নোটিশ লাগানোর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে আসানসোলের সিবিআই আদালত দুজনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলো। তাদেরকে নোটিশ দিয়ে সিবিআই নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিলো। তাদের বাড়ি ও অফিসেও সিবিআইয়ের অফিসাররা হানা দেয়। কিন্তু তাদেরকে পায়নি সিবিআই। এতসব পরেও তারা হাজিরা দেয়নি।


সময়মতো হাজিরা না দেওয়ায় আসানসোল সিবিআই আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরে এবার লালা ও তার সহযোগীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নোটিশ জারি করা হলো। এখন দেখার এইদুই কয়লা কারবারি কি করে।
প্রসঙ্গতঃ, বুধবারই, এই মামলায় আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া ও দূর্গাপুরের একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছিলো।

তার আগে, ইসিএলের আধিকারিকদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি করেছে সিবিআই। এরমধ্যেই সিবিআই কোল ইন্ডিয়াকে দিন কয়েক আগে একটি চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। যাতে তারা জানতে চেয়েছে, গত ৫ বছরে এই আসানসোল রানিগঞ্জে ইসিএলের কয়লাখনি এলাকার কয়লাখনি থেকে কত কয়লা চুরি হয়েছে। প্রয়োজনে চুরির পরিমান বার করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি করা যেতে পারে বলে, সিবিআই কোল ইন্ডিয়াকে অনুরোধ করেছে।

 

also read : शाह के दौरे के साथ ताबड़तोड़ छापेमारी से हिला बंगाल

Also Read : छापेमारी टीम पर हुआ था हमला, एक गिरफ्तार, रत्नेश एवं राकेश फरार

Leave a Reply