ASANSOLASANSOL-BURNPURBengali News

নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত,পকসো আইনে চার বছরের সাজা যুবকের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৪ ফেব্রুয়ারিঃ ১১ বছরের এক নাবালিকাকে জোর করে পার্কে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে পকসো আইনে POCSO ACT বৃহস্পতিবার ৪ বছরের সাজা হলো এক যুবকের। সাজা প্রাপ্ত যুবকের নাম চন্দন মন্ডল।

Asansol court

গত মঙ্গলবার ৫ বছরেরও বেশি আসানসোল আদালতে এই মামলা চলার পরে চন্দন মন্ডলকে পকসো আইনের ৮ নং ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন অতিরিক্ত জেলা জজ( দ্বিতীয়) শরণ্যা সেন প্রসাদ। এদিন মামলা শেষ রায়ে শরণ্যা সেন প্রসাদ চন্দন মন্ডলকে ৪ বছরের সাজা শোনান। একইসঙ্গে তিনি দোষীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা বলেন। সেই জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের আরো জেলে থাকার কথা বলেন।

একইসঙ্গে, বিচারক নির্যাতিতাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য লিগ্যাল কাউন্সিলের কাছে সুপারিশ করেন। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী বা পিপি হিসাবে ছিলেন তপন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই মামলায় চিকিৎসক, পুলিশ ও ২ জন প্রতক্ষ্যদর্শী সহ মোট ১০ জন সাক্ষ্য দান করেছিলেন। মামলা চলাকালীন চন্দন মন্ডল জেল থেকে ছাড়া পায়নি। তার কাস্টডি ট্রায়াল হয়েছে।


এই মামলার সরকারি আইনজীবী বলেন, এই ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০১৫ সালের ১৫ আগষ্ট। সেদিন আসানসোলের মহিশীলা কলোনির বাসিন্দা চন্দন মন্ডল নিজের মোটরসাইকেলে ঐ এলাকারই ১১ বছরের নাবালিকাকে জোর করে বার্ণপুরের নেহেরু পার্কে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে সে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে।

পরিবারের তরফে খবর পেয়ে হিরাপুর থানার পুলিশ পার্কে গিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় চন্দনকে। পরিবারের তরফে হিরাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে পুলিশ তার বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৮ নং ধারায় মামলা করে।


অন্যদিকে, আরো একটি মামলায় পকসো আইনের ৮ নং ধারায় আরো এক ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করেছেন আসানসোল আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ ( দ্বিতীয়) শরণ্যা সেন প্রসাদ।

শনিবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক

আগামী শনিবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক বলে এদিন জানান সরকারি আইনজীবী তথা পিপি তপন মুখোপাধ্যায় । দোষী ব্যক্তির নাম দেবু হাঁড়ি। সে আসানসোলের রুপনারায়নপুরের সীমান্ত পল্লীর একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তথা দারোয়ান পদে চাকরি করতো। তবে এই মামলায় এদিন স্কুলের তৎকালীন টিচার ইনচার্জ দেবপ্রসাদ পাল প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।


ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই।
সরকারি আইনজীবী বলেন, সেদিন দেবু হাঁড়ি ঐ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার উপরে যৌন নির্যাতন চালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দেবু হাঁড়ি ও স্কুলের টিচার ইনচার্জকে গ্রেফতার করেছিলো। পুলিশ দেবুর বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৮ নং ধারায় মামলা করে। এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষ্য দান করেন।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *