ASANSOLBengali NewsPANDESWAR-ANDALRANIGANJ-JAMURIA

জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ ও আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার প্রার্থী নিয়ে তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ, সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড়

দলের টিকিট না পেয়ে ফেসবুক পেজে মন্তব্য শিক্ষক সংগঠন রাজ্য সভাপতির

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৫ মার্চঃ আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভায় তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খনি সংগঠনের নেতা হরেরাম সিং ও তাপস বন্দোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে মমতা বন্দোপাধ্যায় দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তারপরই এই তিন কেন্দ্রের দলের প্রার্থীদের নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরী হয়েছে।

কর্মী থেকে শুরু করে তৃনমুল কংগ্রেসের সমর্থকরা সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য করতে শুরু করে দেন। বলা যায়, সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠে।
তবে এইসব কিছুকেই ছাপিয়ে গেছে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের ( ডবলুবিটিপিটিএ) রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রর তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে করা মন্তব্য। যা নিয়ে শাসক দল খুবই বিব্রত।

রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বার্ণপুরের বাসিন্দা অশোক রুদ্র লিখেছেন, ” বছরভর রাজ্য জুড়ে কাজ করার চেষ্টা করি। তাই হয়তো অযোগ্য”। তারপর তার এই মন্তব্যে প্রচুর শেয়ার ও লাইক পড়ে। তবে, ফোনে অশোক রুদ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ শিল্পাঞ্চলের শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা আশায় ছিলাম আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংগঠনের রাজ্য সভাপতিকে আসানসোল দক্ষিণে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় আমরা খুবই হতাশ। সভাপতিও আমাদের কাছে তার দুঃখের কথা বলেছেন।


অন্যদিকে, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ বিধান সভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়েও শাসক দলের কর্মীরা হতাশ। তারা ভেবেছিলেন জামুড়িয়া থেকে প্রার্থী করা হতে পারে আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অভিজিৎ ঘটককে। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক গত কয়েক মাস ধরে জামুড়িয়ায় দলের কাজ দেখছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ” জামুড়িয়া মানতে পারলাম না “। তবে এই অভিজৎ ঘটক কোন মন্তব্য করতে চাননি। রানিগঞ্জের ক্ষেত্রেও তাই। অনেক তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী ভেবেছিলেন, এই কেন্দ্রে এক যুব নেতাকে প্রার্থী করা হবে।


তবে তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য বলছেন, দলের প্রার্থী ঠিক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাই তিনি যাকে প্রার্থী করছেন, তাকে সবাইকে মানতে হবে। এটাই শৃঙ্খলা। মনের ইচ্ছা যাই থাকনা কেন।

Leave a Reply