ASANSOLASANSOL-BURNPURBengali News

মাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ৫ এপ্রিলঃ বিরোধী দল বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল মন্দিরে পুজো দিয়ে একইদিনে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসেছেন। তখন নিজের অস্থায়ী ঘরে ঠাকুর প্রণাম করে মাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, আমি তো আমার দেবীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসেছি।


সোমবার দুপুরে আসানসোলের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরে সায়নী ঘোষ মা সুদীপা ঘোষকে পাশে নিয়ে বলেন, খুব ভালো লাগছে মা সঙ্গে আছেন । আসলে আমার যখন কোথাও কখনো জীবনে অতিরিক্ত বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়েছে তখনই আমি মাকে পাশেই নিয়েছি। সকালে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে তারও আশীর্বাদ নিয়েছি।


তিনি বলেন, প্রচারে খুব একটা মাকে পাওয়া যাবে না। কেননা মা হার্টের রুগী। তার উপর তো এখন করোনার সময়। মা ঘরে থেকেই আমার দেখভাল করছেন। নিজে হাতে রান্না করছেন। সকালের টিফিন খাওয়ানো থেকে শুরু করে সবটাই করছেন। আর মা দিনভর সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য খবরের মধ্যে থাকেন। আমি প্রচার শেষে বাড়ি ফিরলে আমার সঙ্গে সেইসব নিয়ে আলোচনা হয়।
মেয়ে ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর গত ২১ মার্চ মা আসানসোলে চলে এসেছেন। মেয়ের সঙ্গে থাকতে। এদিন মেয়ের সঙ্গে মনোনয়ন দিতে আসার পথে অনেকেই তাকে বলছিলেন, কাকিমা হাত তুলে বিজয়ের চিহ্ন ভি দেখান। ত কেমন লাগছে ?

তার উত্তরে তিনি বলেন, এমন একটা দিন আমার জীবনে আসবে এটা ভাবতেই পারছিনা। কল্পনাও করতে পারছিনা। আমার খুব ইচ্ছে ছিল মেয়ে রাজনীতিতে আসুক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে আসুক।মেয়ের শুটিংয়ে কখনো গেছেন? উত্তরে সুদীপা দেবী বলেন, মেয়ের ১২ বছরের সিনেমার জীবনে মাত্র চার বার শুটিংয়ে গেছি। কেননা মেয়ের অনেক লম্বা শুটিং চলে। সিনেমা জগৎ থেকে রাজনীতির জগতে মেয়ে আসায় কেমন মনে হচ্ছে ?

তিনি বলেন, শুটিং থেকে রাজনীতির ময়দানে আজ প্রথম এসে দেখলাম এটা সম্পুর্ন একটা আলাদা জগৎ । একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হল। হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে এক সঙ্গে হাঁটলাম। আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রথম থেকেই ভালোবাসি। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধাও করি। এমন মানুষ আমার জীবনে আমি দেখিনি। আমার ছেলে হার্টের অসুস্থতার সময় মমতাদি একজন সাংসদ ছিলেন। তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজিব গান্ধী মারা যাওয়ায় পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজীব গান্ধী বেঁচে থাকলে আমার ছেলের পুরো চিকিৎসার ব্যবস্থা টাই বিনামূল্যে করে দিতেন। বছর ছয়েক আগে আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। আইসিডিএসের সুপারভাইজারের কাজ করতে গিয়ে গ্রামের গরিব মানুষদের সঙ্গে মিশেছি। গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেছি ।আমার সামাজিক কাজকর্ম সমাজসেবা দেখেই আমার মেয়ে বড় হয়েছে। সবশেষে, সুদীপাদেবীর জবাব, মেয়ে জিতবে ও মানুষের জন্য কাজ করবে।

Leave a Reply