ASANSOLBengali NewsDURGAPUR

দুদিন ধরে নিখোঁজ পুলিশের এসআইয়ের দেহ উদ্ধার ২নং জাতীয় সড়ক থেকে, চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ৯ মেঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাসিন্দা রাজ্য পুলিশের এসআই বা সাব ইন্সপেক্টর তরুণ দাসের মৃতদেহ (৫৮) শনিবার রাতে উদ্ধার হলো বুদবুদ থেকে। তিনি গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তরুন দাস আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আসনসোলে ওয়ারলেস বিভাগে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে বুদবুদে সোয়াই মোড়ের কাছে ২নং জাতীয় সড়কের পাশ থেকে এক অপরিচিত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে বুদবুদ থানার পুলিশ। জাতীয় সড়কে কোন গাড়ির ধাক্কায় ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মৃতদেহটি দেখে প্রাথমিক অনুমান হয় পুলিশের। মৃতদেহের উপরের অংশ একবারে পিষ্ট হয়ে গেছিলো। বুদবুদ থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

tarun das file photo

পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজ পুলিশ কর্মী তরুণ দাসের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তাদেরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহটি সনাক্ত করার জন্য বলা হয়। পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত ছিলো মৃতদেহটি তরুণ দাসের। পরে তরুণ দাসের পরিবার আসনসোল জেলা হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহটি সনাক্ত করেন। রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের পরে মৃতদেহটি পুলিশ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাসিন্দা পুলিশের এসআই তরুণ দাস দুদিন আগে গত শুক্রবার সকাল দশটার সময় বাড়ি থেকে বেরোন পাড়া থেকে একটু ঘুরে আসছি বলে। তারপর থেকে আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির লোকেরা দেখেন যে, তরুণবাবুর মোবাইল ফোন বাড়িতে রয়েছে। এমনকি তিনি হাতের আংটিও বাড়িতে খুলে রেখে যান। এরপর তরুণ বাবুর স্ত্রী স্বপ্না দাস দূর্গাপুরের সিটি সেন্টার থানার পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলেন, গত ৭ মে সকাল দশটার সময় আমার স্বামী বাজারে যাচ্ছি কিছু কেনার জন্য। তার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

দূর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাসিন্দা তরুণবাবু এমনিতে মৃদুভাষী ও মিশুকে স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তার মতো এমন মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই চিন্তিত ছিলেন তার পাড়াপড়শি ও এলাকার বাসিন্দারা । এই ঘটনায় গোটা এলাকার পাশাপাশি আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তরুণ বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে নিকট আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি । সিটিসেন্টার ফাঁড়ির পুলিস জানায়, তরুনবাবুর পরিবারের তরফে নিখোঁজের অভিযোগ করার পরে তার খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছিলো। কিন্তু তারমাঝেই শনিবার রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের তরফে আর নতুন করে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে কি কারণে তরুণ দাসের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।৷ ২নং জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কা না তিনি গাড়ির সামনে ঝাঁপিয়ে আত্মঘাতি হয়েছেন তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

Leave a Reply