আন্তরাজ্য নটওয়ারলাল মুন্না প্রতারণার কিংমেকার, চিত্তরঞ্জন পুলিশ দুমকা আদালত থেকে তাকে ৬ দিনের রিমান্ড নিল
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-মুন্না ডোম ওরফে এম কে সিং, যিনি জাল সিমকার্ড, ভুয়া, প্রেস কার্ড,জাল পুলিশ পরিচয়পত্র, ভুয়া মানবাধিকার সংস্থার আইডি এবং লোগো নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে ওঠা বসা করে জনগণ ও পুলিশদের চোখে ধুলা দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ্য টাকার প্রতারণা করেন এই মুন্না ডোম।যাকে আটক করে জামতরা পুলিশ তবে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ দুমকা কোর্ট থেকে ৬ দিনের রিমান্ড নিয়েছে ওই অভিযুক্তকে।
জানাযায় চিত্তরঞ্জন থানা এলাকায় বিভিন্ন সাইকেল চুরির বিষয়ে এবং সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে লোকজন এর কাছে বহু টাকা প্রতারণা করছে সেইসব জিজ্ঞাসাবাদ করছে চিত্তরঞ্জন পুলিশ। মুন্না ডোম প্রায় সাত বছর ধরে চিত্তরঞ্জনের বেস রোড এলাকায় বসবাস করে চিত্তরঞ্জন ও মিহিজামের লোকদের প্রতারণা করে চলেছে। যার পরে সেই পরিবার মিহিজাম হাসিপাহারী এলাকায় বসবাস শুরু করে। তিনি দীর্ঘদিন চিত্তরঞ্জন সামসান ঘাটে শ্মশান অনুষ্ঠানের সময় ডোমের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এরই মধ্যে, তিনি একটি জাল পরিচয় তৈরি করে নিজেকে বাঁচাতে প্রেস কার্ড ব্যবহার করতেন এবং পুলিশ এবং আরপিএফ জওয়ানদের কাছ থেকেও তোলাবাজি চালিয়ে যেত।অবশেষে ওই ব্যক্তি জাল চাকরি দেওয়ার গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে ছিলেন এবং অনেকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৭ লাখ টাকা প্রতারণা করেন তাছাড়া ভুও সিবিআই অফিসার হওয়ার ভান করে দোকান থেকে জিনিস পত্র নিয়েও পালিয়ে যেত। এখনও অবধি তিনি লক্ষ লক্ষ সম্পদ ও বিলাস বহুল জীবন যাপন করছিলেন।
কিন্তু এই বিলাসবহুল জীবন বেশিদিন আর টিকলনা ২০২১ এর ৩১সে মে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে এবং তাকে ধরে এবং দুমকার মাসালিয়া থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়।কারন ওই গ্রামে মুন্না ডোম নিজের স্ত্রীর স্কুটিতে একটি পুলিশ লোগো লাগিয়ে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে পরিচয় দিয়ে পথে ঘাটে গাড়ীচেকিং ও দোকান থেকে অবৈধ অর্থ আদায় করছিল।কিন্তু মুন্নার এই কার্যকলাপ কিছুদিন ধরে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয় তখন তাদের সন্দেহ হলে গ্রামের লোকেরা প্রথমে মুন্নাকে ধরে গ্রামে বেঁধে রাখে এবং পরে পুলিশে খবর দেয়।তদন্তে পুলিশ মুন্না থেকে সিবিআই, পুলিশ, প্রেস সহ অনেক জাল আইডি উদ্ধার করেছে। যার পরে পুলিশ তাকে আটক করে ।এই ঘটনার পরেই চিত্তরঞ্জন পুলিশও মুন্নার সন্ধানে মাসালিয়ায় পৌঁছে তদন্ত করে, এর পরে মুন্নাকে দুমকা আদালত থেকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
চিত্তরঞ্জনের ৭৯ নম্বর সিমজুড়ি রাস্তার বাসিন্দা প্রিয়া কুমারী আসনসোল সিজিএম আদালতে মুন্না ডোমকে ১৫ লাখ টাকা জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ মুন্নাকে রিমান্ডে নিয়েছে। আমলাহী বাজার থেকে হরজিৎ সিংয়ের মোবাইল দোকান থেকে ২৫,০০০ টাকার মোবাইল কিনে নকল চেক বাউন্সের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।চিত্তরঞ্জন আরসাইডের বাসিন্দা শালিনী শর্মাকে রেলে চাকরী দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি মিহিজাম, মুঙ্গার, জম্মু, ধনবাদ থেকেও একাধিক লোককে প্রতারনার শিকার করেছেন।চিত্তরঞ্জন থানার আধিকারিক অতীন্দ্র নাথ জানিয়েছেন যে মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তিনি বহু মামলায় জড়িত রয়েছেন,এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যে অনেক মামলা তার দ্বারা সমাধান করা সম্ভব।
মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের সহ-সভাপতি হলেন মলয় ঘটক