ASANSOL

ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে ভুয়ো আইএএস সবাই পাওয়া যাচ্ছে, রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে আক্রমন সায়ন্তন বসুর

ভ্যাকসিনের কালোবাজারি ও অপব্যবহার বন্ধের দাবিতে আসানসোলে জেলা বিজেপির ধর্ণা, বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর,, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৫ জুলাইঃ বাংলায় করোনা সংক্রমণ নেই দাবি করে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস উপনির্বাচন চাইছে। অথচ অন্যদিকে, লকডাউনের (Lockdown) দিন রাজ্য সরকার বাড়িয়ে চলেছে। এখন এইভাবেই বাংলা চলছে। বৃহস্পতিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে আসানসোল জেলা বিজেপির ডাকে করোনা ভ্যাকসিনের কালোবাজারি ও অপব্যবহার বন্ধের দাবিতে হওয়া ধর্ণা বিক্ষোভ থেকে এমনভাবেই আক্রমন করলেন বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)

এদিনের ধর্ণা বিক্ষোভে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিজেপির কনভেনার শিবরাম বর্মন, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, নির্মল কর্মকার, রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় , কুলটি বিধায়ক ডাঃ অজয় ​​পোদ্দার, বিজেপি জেলা যুব সভাপতি অরিজিৎ রায়, শঙ্কর চৌধুরী , প্রাক্তন কাউন্সিলর আশা শর্মা সহ অনেকেই। আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য এদিনের আন্দোলনে ছিলেন না।


সায়ন্তন বসু আরো বলেন, এখানে সবকিছুতেই চুরি জোচ্চুরি চলছে। তা আমফানের ত্রাণ বা করোনা ভ্যাকসিন, যাই হোক না কেন। তৃনমুল কংগ্রেসের সরকারের জমানায় ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে ভুয়ো আইএএস সবাই পাওয়া যাচ্ছে। তৃনমুল কংগ্রেসের নেতারা ভ্যাকসিন নিয়ে কালোবাজারি করছে। তারা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষদের কি দিচ্ছে কে জানে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কোন ম্যাসেজ আসছে না। সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। এইসব নিয়েই আমরা সতর্ক করতে চাইছি রাজ্যের মানুষদের।


পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিজেপির মিটিং মিছিল আটকাতে লকডাউনের সময় বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে, পেট্রো পন্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তৃনমুল কংগ্রেস যখন আন্দোলন করছে, তখন কিছু হচ্ছে না। মনে হচ্ছে তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীদের করোনা হবে না বা তারা করোনা ছড়াবে না। তিনি বলেন, ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশান হলে, পুর ভোটে বিজেপি জিতবে। সদ্য শেষ হওয়া বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পরেও সায়ন্তন বসুর দাবি, তৃনমুল কংগ্রেসের রিগিং ও সন্ত্রাস আটকাতে বিজেপির কর্মীরা তৈরী হচ্ছে। তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। সর্বোপরি তার দাবি, বাংলার জনগন বিজেপির সঙ্গে আছেন।


প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন , আপনাকে যদি বাইপাস সার্জারি করতে হয় তবে তৃনমুল কংগ্রেসের নেতাদের কাছে যান। রাজ্যে চলছে ‘ ইচ্ছা শ্রী’ প্রকল্প। কেউ নকল আইএএস, আইপিএস, কেউ চিকিৎসক, শিক্ষক হয়ে উঠছেন।
রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিক্ষোভের পরে জেলা বিজেপির এক প্রতিনিধিদল মিছিল করে আসানসোল আদালত চত্বরে মহকুমাশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত যায়। তারা মহকুমাশাসককে একটি স্মারক লিপি দেন।


শহরে আবার সাইবার ক্রাইম, ফোন পে খুলতেই মেকআপ আর্টিস্টের একাউন্ট থেকে উধাও ৫৮ হাজার টাকা

আন্তরাজ্য নটওয়ারলাল মুন্না প্রতারণার কিংমেকার, চিত্তরঞ্জন পুলিশ দুমকা আদালত থেকে তাকে ৬ দিনের রিমান্ড নিল

Leave a Reply