ASANSOLBengali News

খুন করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে আসানসোলে থানা ঘেরাও, বিক্ষোভ পরিবারের সদস্যদের

চারদিন ধরে নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হাইড্রেন থেকে

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩০ আগষ্টঃ আসানসোলের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালের হাই ড্রেন থেকে চারদিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রবিবার সকালে ঐ যুবকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিলো। সোমবার মৃত যুবকের বাবা রাজেন প্রসাদ, মা শান্তি প্রসাদ সহ পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা এদিন থানার সামনে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, যুবককে খুন করা হয়েছে। তাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিবারের তরফে লিখিতভাবে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু করা হবে। যুবকের মৃতদেহর পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পুলিশের হাতে আসেনি। তবে, পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে, যুবকের শরীরের কোথাও কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। যুবকের মৃত্যু মৃতদেহ উদ্ধারের কমপক্ষে ৭২ ঘন্টা আগে হয়েছে। পুলিশের আরো অনুমান, মদ খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় কোন ভাবে ঐ যুবক হাইড্রেনে পড়ে যায়। জলে ডুবে থাকায় প্রথমে যুবকের দেহ কেউ দেখতে পায়নি। জলে ও নোংরায় পড়ে থাকায় দেহে পচন ধরে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত যুবকের নাম ভিক্কি প্রসাদ (২১)। তার বাড়ি রামকৃষ্ণ ডাঙ্গাল এলাকায়। বৃহস্পতিবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য পুলিশকে তা জানানো হয়নি । পরিবারের দাবি হয়তো সে কোথাও গেছে। বাড়ি ফিরে আসবে।
রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ রামকৃষ্ণ ডাঙ্গালের স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন এলাকার হাইড্রেনে এক যুবকের দেহ পড়ে আছে । সেই খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আসে। পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ বলে ময়নাতদন্তের জন্য তা আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর খবর পেয়ে মা শান্তি দেবী ও বাবা রাজন প্রসাদ হাসপাতালে গিয়ে হাতের আংটি ও শরীরে আঁকা ট্যাটু দেখে সেই মৃতদেহ ছেলের বলে সনাক্ত করেন।


মা আরতি দেবী সোমবার অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার একটা পেয়ে বেরিয়ে যায়। সে সঙ্গে মাসির ছেলেকে নিয়ে গেছিলো। পরে ছেলে মাসির ছেলেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বলে পাঠায় পরে সে আসবে। কিন্তু ছেলে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার দাবি, ছেলেকে খুন করে হাত পা বেঁধে হাইড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন ছিল। বাবা রাজন প্রসাদ বলেন, চার দিন ধরে ছেলে নিখোঁজ ছিল। ছেলে পেশাদার ফটোগ্রাফার হিসাবে অনুষ্ঠানে ছবি তুলত। তাদের আরো দাবি, এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে খুন করা হতে পারে বলে তাদের সন্দেহ ।সোমবার সকালে যুবকের মা বাবা সহ এলাকার বেশ কিছু মানুষ আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পুলিশের তরফে তাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়, লিখিতভাবে অভিযোগ দিন। কাউকে যদি সন্দেহ হয় তাও জানান। তদন্ত শুরু করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 Asansol आरके डंगाल में क्षत-विक्षत शव मिलने से सनसनी

Leave a Reply