Bengali NewsDURGAPUR

দূর্গাপুরে চাঞ্চল্য কুকুরের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করে আত্মসমর্পণ ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার স্বামী

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, দূর্গাপুর, ৬ সেপ্টেম্বরঃ দুর্গাপুরের ব্যাঙ্ক অফিসারের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকেই শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠলো। রবিবার রাতের এই ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার ইস্পাত নগরী দূর্গাপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্ত্রীকে খুন করার পরে স্বামী থানায় গিয়ে পুলিশকে জানায় যে সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। থানার পুলিশ কর্মীরাও রীতিমতো হতবাক হয়ে যান।
ব্যাঙ্ক অফিসার বিপ্লব পারিদা ও স্ত্রী ইপ্সা প্রিয়দর্শিনী পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার বামুনারায় একটি বহুতলতে থাকতেন। বিপ্লববাবু সহকারী ম্যানেজার হিসাবে দূর্গাপুরের মামরা বাজার শাখায় কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, রবিবার রাতে এই ঘটনার পর বিপ্লব নিজেই মোটরসাইকেলে কাঁকসা থানায় গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে বলেন, “আমি আমার স্ত্রীকে খুন করে এসেছি। আপনারা যান।”
উড়িষ্যার কটকের বাসিন্দা বিপ্লব পারিদা বলেন, দুই বাড়ির দেখাশোনা করার পর ২০১৯ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বামুনারায় একটি ফ্ল্যাটও ভাড়া নিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলছিল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইপ্সা পরিবারকে কখনও দেখেনি। প্রতি দুদিন অন্তর কেনাকাটা করতে বাজারে যেত। সেই বিপুল খরচ করার সবসময় সম্ভবপর ছিল না। যা অশান্তির দিকে নিয়ে যায়। সবসময় বাইরে যাওয়ার একটি নেশা ছিল। এখানে আসার কিছুদিন পর ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ভর্তি করার দাবি শুরু হয়েছিলো। তিনি বলেন, স্ত্রী ইপ্সা গৃহিণীর কোনো দায়িত্ব নেয়নি বলে তাকেই রান্না ও ঘরের বেশিরভাগ কাজ করতে হয়।


রবিবার অশান্তি এতটাই বেড়ে যায় যে তিনি নিজেই পোষা কুকুরের বেল্ট দিয়ে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পুলিশের মতে, স্ত্রীর চাহিদা ও হয়রানি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। সেটা আর সহ্য করতে পারছিলেন না। শেষমেষ বিপ্লব বাড়িতে স্ত্রীকে খুন করে ও নিজেই থানায় এসে জানায়।
‌কাঁকসা থানার পক্ষ থেকে গৃহবধূর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। তার বাপের বাড়ি থেকে সদস্যরা এলে আরও কিছু তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশের অনুমান ।‌ যদিও পুলিশ বিপ্লব পারিদার জবানবন্দির ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে ও মৃতদেহ উদ্ধারের পরে একটি খুনের মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Leave a Reply