গোল্ড লোনকারী সংস্থার শাখায় ডাকাতি, চন্দননগরে গ্রেফতার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনকে সনাক্ত, জেরায় স্বীকার, দাবি পুলিশের
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৪ সেপ্টেম্বরঃ আসানসোল দক্ষিণ থানার জিটি রোডের ভাঙ্গা পাঁচিল এলাকার একটি বেসরকারি গোল্ড লোনকারী সংস্থায় সাড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের মধ্যে ২ জনকে চিহ্নিত করা গেছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে।
গত মঙ্গলবার হুগলির চন্দননগরের একটি গোল্ড লোন কোম্পানিতে ডাকাতির সময় তিন ডাকাত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে দুজন বিট্টু কুমার ওরফে বিট্টু করন ও ধর্মেন্দ্র কুমার ওরফে রাজ আসানসোলের ডাকাতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
এই প্রসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম জানান, আসানসোল ডাকাতির সঙ্গে জড়িত দুই ডাকাতকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। চন্দননগরে ধরা পড়া দুজন ডাকাত আসানসোলের ঘটনায় জড়িত ছিল। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শীঘ্রই এই ডাকাতির ঘটনার আরো তথ্য সম্পর্কে জানা যাবে। চন্দননগর পুলিশ বর্তমানে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/09/img-20210911-wa00364813916738259742648.jpg?resize=500%2C273&ssl=1)
তিনি আরো বলেন, চন্দননগর পুলিশের রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ দুজনকে আসানসোলে নিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গতঃ, গত ১১ সেপ্টেম্বর দিন দুপুরে জনা চারেক সশস্ত্র ডাকাত ভাঙ্গা পাঁচিল এলাকার বেসরকারি গোল্ড লোনকারী সংস্থার শাখায় ঢুকে ১২ কেজি সোনার গয়না নগদ ১০ লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। শাখার মধ্যে ডাকাতদের ঢোকা থেকে শুরু করে ডাকাতি করে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত পুরোটাই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। প্রায় ২০ মিনিট ডাকাত ছিলো। শাখার নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধর করে ম্যানেজার সহ সবাইকে গান পয়েন্টে রেখে একটা রুমে বন্ধ করে দেয়। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের সিআইডি ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও আসেন ঐ ডাকাতির তদন্ত করতে। ডাকাতরা শাখা থেকে বেরিয়ে মোটরসাইকেল করে চম্পট দিয়েছিলো। ঐ ডাকাতদের সন্ধানে পুলিশ ও সিআইডি দল ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায়। কিন্তু ডাকাতদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এরপরই, চন্দননগরে একই সংস্থার শাখায় ডাকাতি করতে গিয়ে সাতজনের মধ্যে তিন ডাকাত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। সেই খবর পাওয়ার পর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের একটি দল চন্দননগরে যায়। সেখানে গ্রেফতার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন জেরা করে, আসানসোল ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।
Coal Smuggling : इसीएल को हाईकोर्ट की कड़ी फटकार, पूछा सो रहे थे, सीपी को हाजिर होने का निर्देश