জয়দেব মন্ডলকে আরো তিনদিন রিমান্ডে পেলো সিবিআই
বেঙ্গল মিরর, .রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১ অক্টোবরঃ কয়লা কান্ডে ( Coal Smuggling Case) অনুপ মাজি ওরফে লালার ( Lala ) অন্যতম সঙ্গী আসানসোলের জয়দেব মণ্ডলকে ( Joydeb Mondol ) ৪ দিন রিমান্ড শেষে শুক্রবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে ( Asansol CBI Court ) তোলা হয়। বিচারক জয়শ্রী বন্দোপাধ্যায়ের কাছে সিবিআইয়ের আইনজীবীর পক্ষ থেকে তাকে আরো তিন দিনের হেফাজত বা রিমান্ডে চাওয়ার আর্জি জানানো হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে তাদের আইনজীবী এদিন সওয়াল করে বলেন, যেহেতু এটা খুব বড় ধরনের একটা স্ক্যাম বা দূর্নীতি, সেই জন্য আরো ধৃতকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। তাছাড়া গত কয়েক দিন আবহাওয়া ঠিক ছিল না। তাই তদন্তের স্বার্থে আরো তিনদিন তাকে জেরা করার দরকার আছে।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/10/img-20211001-wa00197490454477377886788.jpg?resize=500%2C375&ssl=1)
সিবিআই আইনজীবীর পাল্টা জবাবে জয়দেব মন্ডলের আইনজীবী তার আবার রিমান্ডের বিরোধিতা করে বলেন, গত চারদিন রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে তার মক্কেলর কাছ থেকে কিছুই পাইনি। পেয়ে থাকলে কি পেয়েছে, তার কোন কিছু আদালতকে সিবিআই দিতে পারেনি। এছাড়াও জয়দেব মন্ডল শারীরিকভাবে অসুস্থ। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরে বিচারক তার জামিন নাকচ করে তাকে আরো তিন দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন । জানা গেছে, জয়দেব মন্ডলের সঙ্গে সিবিআই রিমান্ডে থাকা এই মামলায় ধৃত নীরোদ মন্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দাকে আগামী ৪ অক্টোবর আবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর সিবিআই অবৈধ কয়লা খনি , কয়লা চুরি ও বেআইনি কয়লা পাচারের অভিযোগে পুরুলিয়ার বাসিন্দা অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও ইসিএলের দুইজন জিএম এবং তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলো। সিবিআই এই মামলায় পরে সারাদেশে প্রায় ৩০ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় । গত ১৬ সেপ্টেম্বর আসানসোলে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতে এবং অফিসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই সর্বশেষ অভিযানে নেমে তল্লাশি চালিয়েছিলে। এখানেই শেষ নয় সিবিআই তদন্ত শুরু করার পরে এই কান্ডে ইডি আলাদা করে তদন্ত শুরু করে। অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে সিবিআই গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার নোটিশ দিয়ে ডাকলেও সে আসেনি। এমনকি তার বাড়িতে তল্লাশি চালালেও তাকে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি । তবে তার দুটি কারখানা সহ ১৬৫ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি সিবিআই ইতিমধ্যেই অ্যাটাচমেন্ট করেছে।
ডিশেরগড়ে বড় অস্ত্র কারখানার সন্ধান, প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির যন্ত্রপাতি ও উদ্ধার