Bengali News

পুজোর পরে দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক অফিসাররা ব্যাপক আন্দোলনে নামবেন

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমবঙ্গ সহ এখন পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৩হাজার ব্যাংকের শাখা বন্ধ করে দিয়েছে । শুধু তাই নয় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে ইউবিআই এবং এলাহাবাদ ব্যাংকের যে প্রধান সদর দপ্তর ছিল সে দুটিও তুলে দিয়েছে। আরো বেশকিছু ব্যাংক হয় বন্ধ করা বা সংযুক্তিকরণ এর প্রস্তাব নিয়েছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধেই দেশজুড়ে পুজোর পরে ব্যাঙ্ক অফিসাররা ব্যাপক আন্দোলনে নামবেন বলে জানান অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার ফেডারেশনের সর্বভারতীয় নেতা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অফিসার্স এসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস ।

সঞ্জয় বাবু জানান এই মুহূর্তে তারা পশ্চিমবঙ্গে আলাদা আলাদা করে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকের অফিসারদের নিয়ে  কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাংকে বিরুদ্ধে আনা সিদ্ধান্ত গুলির প্রতিবাদে কিভাবে আন্দোলন হবে তা নিয়ে সভা করছেন ।দু’দিন আগেই একই ধরনের সভা মুর্শিদাবাদে করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বুধবার আসানসোলে সমস্ত ব্যাংক অফিসারদের নিয়ে আলোচনা করেন। এদিনের সভায় রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতবর্ষের কর্পোরেট এবং আদানি, আম্বানিদের মত শিল্পপতিদের আর ও বড়লোক করে তুলছেন ব্যাংকের টাকায় তার ব্যাখ্যা দেন। অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা যারা প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার নীরব। অথচ কৃষকরা যদি ঋণ চায় তাদের আটকে দেয়া হয় ।এদিনের উদ্যোক্তাদের তিনি বলেন তাদের পাশে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী থেকে তারা সকলেই রয়েছেন।

 সঞ্জয় বাবু জানান দুয়ারে সরকারে যখন বিভিন্ন  কর্মসূচি পালন হচ্ছিল তখন তারা লক্ষ্য করে দেখেছিলেন যারা সেই সময়  ব্যাংকে নেট সরবরাহ করতো তারা কিন্তু নানান ভাবে সমস্যা তৈরি করেছিল ।তিনি বলেন ছয় লাখ অষ্ট আশি হাজার কোটি টাকা এনপিএ হয়েছে। একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন যেখানে ৫.১৬ লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী ছিল সেখানে ২.১৬ লক্ষ কোটি টাকা জমা নিয়ে ৭৩ শতাংশ ছাড় দিয়ে সেই টাকা শোধ হলো বলে সার্টিফিকেট দিয়ে দিলো বড়লোকদের। গরিব মানুষ যাদের সামান্য টাকা ব্যাংকে শোধ করতে পারেননি তাঁদের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা হয় ।

একের পর এক  ব্যাংক শুধু বন্ধ করছে তাই নয় বেসরকারি সংস্থা আদানি আম্বানি দের মত শিল্পপতিদের হাতে ব্যাংক তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বারবার বলেছি বেশ কয়েকটি বড় বেসরকারি ব্যাংক ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরেও এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যদি এখনই বড় ধরনের আন্দোলন না করা যায় তাহলে কেন্দ্র সরকারি ব্যাংকগুলোর তুলে দেবে। এতে গ্রাহকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সেই জন্যেই ব্যাঙ্ক কর্মী শুধু নয় সাধারণ মানুষকেও এই আন্দোলনের পাশে থাকতে হবে.

Cyber Crime : দার্জিলিং পুলিশের হাতে গ্রেফতার রানিগঞ্জের তিন

Leave a Reply