BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

সালানপুরে রেললাইন থেকে যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৫ নভেম্বরঃ রেললাইন থেকে যুগলের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের সালানপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে আসানসোল রেল পুলিশ এলাকায় গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। মৃত যুগলের নাম হলো সালানপুর থানার জেমারি নাগ পাড়ার প্রীতিকণা নাগ (৩২) ও বারাবনি থানার আমনালার তারক ঘাঁটি (৩৪)।

যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার
sample Photo by Pixabay on Pexels.com


রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রীতিকণা নাগ ও তারক ঘাঁটি দুজনেই বিবাহিত। প্রীতিকণা নাগের বছর ১৫ আগে বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী ছাড়াও বাড়িতে বছর ১৪ র একটি মেয়ে ও ছোট একটা ছেলে আছে। মহিলার স্বামীর জেমারি এলাকায় একটি দোকান আছে। তারকের বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও পরিবারের অন্য সদস্যরা আছেন। কোনভাবে দুজনের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরী হয়েছিলো বলে রেল পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে জানতে পারে।


বুধবার বিকালের পরে সালানপুর থানার জেমারির কাছে রেললাইনের উপরে এক পুরুষ ও এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রেল পুলিশ এলাকায় আসে। প্রথমে দুজনের পরিচয় জানা যায় নি। পরে রাতের দিকে দুজনের পরিচয় পুলিশ জানতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা রেল পুলিশকে জানান, মঙ্গলবার রাতে জেমারি এলাকায় একটি হোটেলের সামনে দুজনকে এই দুজনকে দেখা যায়। তারা এলাকায় বেশ কিছুক্ষুন ছিলো। যুবকের সঙ্গে একটি বাইকও ছিলো। হোটেলের সামনে বাইক রেখে যুবক মহিলাকে নিয়ে রেললাইনের দিকে চলে যায়। তারপর আর তাদের দেখা যায়নি।


রেল পুলিশ আরো জানায়, দুটি মৃতদেহ প্রায় একসঙ্গে পাশাপাশি ছিলো। দুজনেই বিবাহিত। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে তারা একসঙ্গে কোন ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে। তাদের পরিবারের তরফে কোন অভিযোগ দায়ের রেল পুলিশের কাছে করা হয় নি। দুই পরিবারের সদস্যরা ঘটনার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতেও চাননি। রেল পুলিশ দুটি ঘটনায় দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে।

Leave a Reply