ASANSOLASANSOL-BURNPUR

আসানসোলে অনলাইন বহুজাতিক সংস্থার অফিসে দুঃসাহসিক ডাকাতি, লুঠ ২ লক্ষাধিক টাকা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীপ সেন, আসানসোল, ১১ ডিসেম্বরঃ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় আবারও প্রশ্নের
মুখে আইনশৃঙ্খলা। শুক্রবার রাত ৯ টার সময় তিন সশস্ত্র দূষ্কৃতি বন্দুক উঁচিয়ে ডাকাতি করলো। আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুরে আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে অনলাইনে মাল সরবরাহকারী বহুজাতিক সংস্থার অফিস থেকে ডাকাতর ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৩১২ টাকা লুঠ করে পালায়। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

घटनास्थल की जांच करते पुलिस अधिकारी


জানা গেছে, অন্যদিনের মতো শুক্রবার রাত নটা নাগাদ অনলাইনে মাল সরবরাহকারী বহুজাতিক সংস্থার কর্মীরা কাজ করছিলেন। আচমকাই সেই সময় সেখানে সশস্ত্র দূষ্কৃতিরা হানা দেয়।
সংস্থার অফিসের সুপারভাইজার অনুপ দাস বলেন, আমরা গোডাউনে ৬ জন কাজ করছিলাম। একজন বাইরে গেছিলো। এমন সময় হঠাৎ করে তিনজন গোডাউনে ঢুকে পড়ে। তারমধ্যে দুজনের হাতে বন্দুক ও একজনের হাতে ভোজালি ছিলো। একজন বন্দুক নিয়ে আমার কাছে এসে ক্যাশ ও সিসি ক্যামেরার বক্স কোথায় আছে জানতে চায়। আমি বলি জানিনা। তখন সে আমার মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারে। তখন আমি ভয় সব বলে দিই। এরপর তারা আমাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে অফিসের মধ্যে এক জায়গায় বসিয়ে, চুপ করে থাকতে বলে। এরপর তারা ক্যাশ থেকে সব টাকা নিয়ে নেয়। সিসি ক্যামেরার বক্স নেয়। মিনিট কয়েকের মধ্যে দূষ্কৃতিরা লুটপাট চালিয়ে অফিস থেকে বেরোয় ও না বেরোনোর জন্য হুমকি দিয়ে যায়। অফিস থেকে বেরিয়ে দূষ্কৃতিরা সংস্থার কর্মীদের থেকে কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোনগুলি বাইরে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেয়।


রাত নটার পরে দূষ্কৃতি হানার খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (ওয়েস্ট) অভিষেক মোদী, এডিসিপি (ডিডি) সৌমিক সেনগুপ্ত এসিপি ( সেন্ট্রাল) মানবেন্দ্র দাস সহ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ, আসানসোল উত্তর থানা, কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশ ছুটে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।


পুলিশ জানতে পারে যে, যে তিনজন ভেতরে ছিলো তারা হিন্দিতে কথা বলেছিলো। তাদের মুখ মাস্ক, মাফলার ও টুপিতে ঢাকা ছিলো। দূষ্কৃতিরা দলে ঠিক কজন ছিলো ও তারা কিসে করে এই অফিসে এসেছিলো, তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। সিসি ক্যামেরার বক্স দূষ্কৃতিরা নিয়ে চলে যাওয়ায় পুলিশ কোন ফুটেজ পায়নি। রাতে দূষ্কৃতিদের মারে আহত অনুপ দাসকে চিকিৎসার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

तोड़फोड़ क्या हुआ कंप्यूटर देखते हुए पुलिस अधिकारी


ঘটনা নিয়ে ডিসিপি (ওয়েস্ট) অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকা ছেড়ে বেরোনোর সব পয়েন্টে নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে। দ্রুত তাদের ধরা হবে।
প্রসঙ্গতঃ, দুদিন আগেই আসানসোল শহরে মূর্গাশোলের মতো জনবহুল এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে দূষ্কৃতি হামলার ঘটনা ঘটে।

Leave a Reply