ASANSOLHealth

West Burdwan : কাল থেকে তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু, এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেননি প্রায় ৬ লক্ষ

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৯ জানুয়ারিঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলা ( West Burdwan) জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সময় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে আজ সোমবার থেকে জেলা জুড়ে তৃতীয় বুস্টার ডোজ ( Booster Dose) দেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলিতে এই ডোজ দেওয়া হবে।


(Vaccine Update)


অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন রেল হাসপাতালের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার বা ৬০ বছর বয়স হয়েছে এমন মানুষ ও রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী যাদের নয় মাস আগে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়েছে তাদের তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এছাড়াও ১০ ও ১৫ জানুয়ারি ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা ছিল ২৩ লক্ষ ২০ হাজার। তার মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ তাদের প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন।


জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ শেখ ইউনূস বলেন, জেলায় যারা বাকি রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বাইরে থেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া মানুষের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩১ হাজার ২৮৫ জন। অর্থাৎ জেলায় এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেননি, এর সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। তিনি আরো বলেন, বুস্টার ডোজ বলে আলাদা কোন ডোজ নেই। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ কোভ্যাকসিন বা কোভিশিন্ড দেওয়া হয়েছে, সেটাই দেওয়া হবে। এই দুধরনের ভ্যাকসিন যথেষ্ট পরিমাণ জেলায় মজুদ আছে। তার মধ্যে থেকে তৃতীয় ডোজের কোনও অসুবিধে হবে না। যেভাবে কোউইনের মাধ্যমে নাম তালিকাভুক্ত করে আগে দেওয়া হয়েছিল সেভাবেই তৃতীয় ডোজ নিতে হবে। তবে তৃতীয় ডোজ যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার অর্থাৎ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ ও ষাটোর্ধ মানুষ যারা তাদের দেওয়া হবে। তবে অবশ্যই দেখতে হবে তিনি নয় মাস আগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন কিনা। তবেই এটা পাবেন।


মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, জেলায় প্রায় দেড়শোর মতো স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সালানপুর ব্লকে পিঠাইকেয়ারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। সেখানকার বিএমওএইচ সগ বেশিরভাগ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে জানা গেছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে রবিবার সকালে ৫৫ বছরের একজন ভর্তি হয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। পরে সন্ধ্যা নাগাদ তিনি মারা যান। একইভাবে এদিন আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত একজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গতঃ, ইতিমধ্যেই জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬৩ হাজার পার করেছে। গত দুদিন পর পর জেলায় এক হাজারেরও বেশি করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *