পুর যুদ্ধে এবার ইস্তেহার প্রকাশের লড়াই, একইদিনে তৃনমুলের ১০ দিগন্তের পাল্টা বিজেপির প্রতিজ্ঞা পত্র
বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৫ জানুয়ারিঃ আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনের লড়াইয়ে এবার জমজমাট নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ। একইদিনে তৃনমুল কংগ্রেসের ১০ দিগন্তের পাল্টা বিজেপির প্রতিজ্ঞা পত্র ( BJP Manifesto) । শনিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশের পর সন্ধ্যায় বিজেপি ইস্তেহার প্রকাশ করলো। আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়কের ধাদকা মোড় সংলগ্ন বিজেপি জেলা অফিসে এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা আসানসোল পুর নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি দাবি করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ও মানুষ ভোট দিতে পারলো ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮০ টি ওয়ার্ডে বিজেপির জয় নিশ্চিত।
বিজেপির বোর্ড গঠনের পরে তিন ঘন্টায় হাতের কাছে কাউন্সিলর ও ৭২ ঘণ্টায় কোনও সমস্যা নিয়ে মেয়র বা তার প্রতিনিধি সেই এলাকায় পৌঁছে যাবেন। সেই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন। তিনি বলেন, বিজেপি আসানসোলকে স্মার্ট সিটি করবে। এর পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে বছরে দশটি করে ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে লাইব্রেরি ও প্রশাসনিক সেবা পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার খোলা হবে। মহিলাদের জন্য প্রতি তিন মাসে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বছরে দুবার সুগার পরীক্ষা ও প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হবে। আসানসোল স্টেডিয়াম হবে একবারে বিশ্বমানের।
কোন পুরবাসীর মৃত্যু হলে তার পারলৌকিক কাজের জন্য পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে পুরনিগমের তরফে। তিনি বলেন, পুর এলাকার মানুষদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে হেল্পলাইন নম্বর করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজনকে সমন্বয়কারী হিসাবে নিয়োগ করা হবে। প্রত্যেক গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রী যোজনায় একটি করে বাড়ি দেওয়া হবে। পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী ও শূন্য পদে কর্মী নিয়োগের উপর জোর দেওয়া হবে। প্রাক্তন মেয়র বলেন, কুলটি ও রানিগঞ্জে টাউন হল তৈরি করা হবে। সব নাগরিকের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল ২৪ ঘন্টা সরবরাহ করা হবে। শহরের বর্জ্য পদার্থ রিসাইকিলিং করার জন্য একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে, বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ জেলা নেতারা।