ASANSOL

আসানসোলে পদ্ম শিবিরে ভাঙ্গন অব্যাহত, তৃনমুলে যোগদান বিজেপির দুই জেলা নেত্রী ও মন্ডল সভাপতির

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৫ জানুয়ারিঃ মনমতো ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে না পেরে, মনোনয়ন পত্র জমা না দিয়ে মন্ডল সভাপতি পদ ছাড়ার পাশাপাশি পুর ভোটে দলের হয়ে কাজ না করার কথা জানিয়েছিলেন আসানসোল উত্তর বিধান সভার বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুদীপ চৌধুরী।এবার সেই বিজেপি নেতা দলবদল করে বিজেপি ছেড়ে শনিবার তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দান করলেন। এদিন একইসঙ্গে পদ্ম শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ঘাসফুলে এলেন বিজেপির জেলার প্রাক্তন সম্পাদক সুধাদেবী, সহ সভানেত্রী তনুজা সিনহা, মহিলা মোর্চার মন্ডল সভানেত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়, বুথ সভাপতি জয়প্রকাশ কেশরী সহ দুশোজন কর্মী ও সমর্থক।

পদ্ম শিবিরে ভাঙ্গন অব্যাহত


এদিন দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের বিএনআরে তৃণমূল ভবনে এক অনুষ্ঠানে সুদীপবাবু ও সুধাদেবীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। অন্যদের মধ্যে ছিলেন আরো এক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, ব্লক সভাপতি গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, দলের প্রার্থী ডাঃ দেবাশীষ সরকার।


এদিন দলবদল করেই সুদীপ চৌধুরী ও সুধা দেবী পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তারা মুলতঃ আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আসানসোল উত্তর বিধান সভা কেন্দ্রে মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে হেরে যাওয়া কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে আক্রমন করেন। তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কত বছর ধরে বিজেপি দলটা করলাম। আগে যে জায়গায় ছিলাম। এখনো সেই জায়গায় আছি। অথচ, যারা নতুন এলো, তারা এখন কোথায়? তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘুরছে।

সুদীপ চৌধুরী বলেন, একটা ওয়ার্ডে দল করে সংগঠন গড়ে তুললাম। বললাম, সেখানে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু আমার মতো পুরনো কর্মীর কথা গুরুত্ব পেলোনা। অন্য ওয়ার্ডে আমার মত না নিয়ে প্রার্থী করা হলো। আসানসোলের বিজেপি এখন জেকে ( জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়) কোম্পানি হয়ে গেছে। পুর ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বজন পোষণ করা হয়েছে। একজনের স্ত্রী, তার গাড়ির চালক, সঙ্গে থাকা সবাই টিকিট পেলো। তার দাবি ও অভিযোগ, পুর ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ে অর্থ ও নারী প্রাধান্য পেয়েছে। এইসব কারণের জন্য দল ছাড়লাম।
মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, সুদীপ চৌধুরীরা দলের আসায় সংগঠন বাড়বে। শুধু এরা নয়, বিভিন্ন দলের অনেক প্রার্থী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


অন্যদিকে, সুদীপ চৌধুরীদের আক্রমন প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, দল ছেড়ে গেলে সবাই এই কথাই বলে। আর আমার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলবে, তৃনমুল কংগ্রেসে তার গুরুত্ব তত বাড়বে। সুদীপ চৌধুরীকে দল তো একটা ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিলো। সেটা তার পছন্দ হয়নি। দল তার জন্য কি করবে। তিনি আরো বলেন, দলের প্রার্থী কারা ঠিক করে, তা সবাই জানে। অভিযোগ যে কেউ করতে পারে।

চার পুরনিগমে ভোট পিছিয়ে গেল

আসানসোলের ১০ দিগন্তে জোর নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থা, জল সরবরাহ থেকে নদী সংস্কার

Leave a Reply