ভাঙ্গন অব্যাহত, মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল পুরনিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুশো জনেরও বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থক রবিরাব আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দেন। মন্ত্রীর আসানসোলের আপকার গার্ডেনের আবাসিক অফিসে এই যোগদান পর্ব হয় ।
অনুষ্ঠানে মলয় ঘটক বলেন,গত লোকসভা নির্বাচনের সময় আসানসোলে বিজেপির ঢেউ ছিল, এর প্রভাবে এই সমস্ত লোক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এই লোকেরা বিজেপির সত্যতা জানতে পেরেছে এবং তারা বুঝতে পেরেছে যে ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করা ছাড়া বিজেপি কোনও কাজ করতে পারে না। সেই সঙ্গে যখন তারা দেখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে ধর্ম ও জাত-পাতের ঊর্ধ্বে উঠে সবার উন্নয়ন করেছেন, তখন এই লোকেরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আজ তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের অংশ হয়ে উঠতে চাইছেন বলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে শিল্পাঞ্চলে বিজেপির অস্তিত্ব বলে থাকবে না। কারণ বিজেপির কাছে উন্নয়নের কোনও মডেল নেই এবং আজও যারা বিজেপির সাথে যুক্ত তারা অবশ্যই ভবিষ্যতে তাদের ভুল বুঝতে পারবেন। আর আসানসোল উত্তর বিধান সভা কেন্দ্রে বিজেপির পার্টি অফিস খোলার মতো কেউ থাকবে না। একই সঙ্গে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা এই নেতা ও কর্মীরা বলেন, যে তারা ভেবেছিলেন বিজেপি রাজ্যের উন্নয়ন করবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা বুঝতে পেরেছে যে বিজেপির কাছে উন্নয়নের কোনও মডেল নেই। এটা শুধু মানুষ ও সমাজকে বিভক্ত করার কাজ করে।
তারা বলেন,বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারণে আজ সারা দেশের পাশাপাশি বাংলার মানুষও ভুগছে।একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে এই রাজ্যের মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছে।এই সমস্ত সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সকলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিল্পাঞ্চলে বিজেপির নিচুস্তরের কর্মী ও নেতাদের কোনো সম্মান নেই। এই সমস্ত বিষয়গুলি সকলের মনে বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ করে তুলেছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমুল কংগ্রেসের নেতা অনিমেষ দাস, ভানু বোস, মদন মোহন চৌবে ও সুদীপ চৌধুরী। দলবদল করাদের মধ্যে আছেন ওয়ার্ডের শক্তি প্রমুখ সহ অন্যান্যরা।