BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার অফিসের ভিতরে এক মহিলা কর্মীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ মুখোশধারী আক্রমনকারীদের উপরে, ঘটনায় চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-চিত্তরঞ্জন থানার অন্তর্গত রেল শহর চিত্তরঞ্জন কারখানা আর সেই কারখানার ভেতরেই এক মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ । এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি কারখানা চত্ত্বরে। ঘটনার সম্পর্কে জানাযায় যে চিত্তরঞ্জন কারখানার কর্মরত এক মহিলার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যারফলে মহিলাটি অনেকটাই পুড়ে যান ।দগ্ধ ঐ কর্মিকে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে । এই ঘটনায় সিএলডব্লু’র মহিলা কর্মিদের মধ্যে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রমিক নেতা ইন্দ্ৰজিৎ সিং ।

মহিলা কর্মীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ

১ ফেব্রুয়ারি বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ কারখানার ওয়ার্কস অফিসে ঘটে । অভিযোগে প্রকাশ ওয়ার্কস অফিসের ঐ চতুর্থ শ্রেণীর মহিলা কর্মি অন্য আর এক মহিলা কর্মিকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টিনের পাশে স্টোর থেকে জেরক্স পেপার আনার জন্য গিয়েছিলেন । বেশ কিছু জেরক্স পেপার হাতে নিয়ে সঙ্গী মহিলা কর্মীটি অফিসে যখন রাখার জন্য আসেন সেই সময় একা পেয়ে স্টোরের ভেতরে থাকা ঐ মহিলা কর্মীকে আক্রমণ করা হয় । আচমকা তার গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই মহিলা কর্মীর সোয়েটার এবং জিন্সের প্যান্ট পুড়ে যায় । তার পেটের অনেকটা অংশ মারাত্মক রকমের দগ্ধ হয় । পায়েও আগুন লাগে ।

এই ঘটনায় অফিসের ভেতরে আতঙ্ক দেখা দেয় , কর্মীরা ছোটাছুটি করতে থাকেন । সেই সুযোগে মুখোশধারী ২ আক্রমনকারী পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে । গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলা কর্মীকে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ । আক্রান্ত ঐ যুবতীর বাবা যিনি নিজেও চিত্তরঞ্জন রেলকর্মী , বলেন তার মেয়ের প্রাণ নেওয়ার জন্য হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা । পূর্বে একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার মেয়ে বিহারের কয়েক জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন । সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্যই এই হামলা বলে তিনি মনে করছেন ।


উল্লেখ্য ,তবে মেয়ের পিতা জানান তার মেয়ের গায়ে এর আগেও চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ভেতরে প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে ।বেশ কিছুদিন আগে ওয়ার্কস অফিসের মধ্যেই তাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করার চেষ্টাও করা হয়েছিল । সে যাত্রায় দীর্ঘ চিকিৎসার পর ওই যুবতী কর্মী প্রাণ ফিরে পান।আজকের ঘটনার কয়েকদিন আগে ওয়ার্কস অফিসের সিঁড়িতে মুখোশধারী এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তার উপরে আক্রমণ করে এবং শাসানি দিয়ে বলে মামলা তুলে না নিলে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হবে।আজ সেই শাসানিই কাজে পরিণত করার জন্য হামলা বলে মনে করা হচ্ছে । বারবার একজন মহিলা কর্মীর উপরে ভয়ঙ্কর হামলা হচ্ছে একেবারে কারখানার চৌহদ্দির ভেতরে নিরাপত্তায় মুড়ে থাকা অফিসের মধ্যে কিন্তু কোন বারই অপরাধীরা ধরা পড়ছে না এই কথা বলে

শ্রমিকনেতা ইন্দ্ৰজিৎ সিং বলেন এবার পুলিশ এবং চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষকে এর একটা বিহিত করতেই হবে।তা না হলে এখানকার সমস্ত স্তরের কর্মীরা বিশেষত মহিলা কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন । তিনি বলেন প্রথমবার বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টার পর রেল কর্তৃপক্ষ ওই যুবতী কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একজন মহিলা নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করেছিলেন । পরবর্তী সময়ে তা তুলে নেওয়া হয় । তবে সে সময় ওই কর্মীকে তার বাবা কারখানার ভেতরে যেখানে কাজ করেন সেখানে বদলি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যদিও তা কার্যকরী হয়নি । এবার নিশ্চিত করতে হবে যাতে ওই কর্মী নিরাপত্তা পান এবং তার বাবার শপেই বদলি হন সে বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিন এই কথা বলেছেন ইন্দ্ৰজিৎ বাবু ।পুলিশ এবং আরপিএফ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে । এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও কারখানার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য় পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply