RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জের স্পন্দন হারমনিকা বাজিয়ে রেকর্ড গড়লো, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নথিভূক্ত হলো

বেঙ্গল মিরর, রাণীগঞ্জ, চরণ মুখার্জি  : এবার দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করে খনি অঞ্চলের বুকে সুনাম অর্জন করল বছর ১৪ স্পন্দন। একটানা হারমনিকা বাজিয়ে খনি অঞ্চলের নাম উজ্জ্বল করল বছর 14 নবম শ্রেণীর এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া স্পন্দন মুখার্জী। একনাগাড়ে ২৭ জন মহিলার সঙ্গে ৫২ টি দৌত সংগীত হারর্মনিকাতে বাজিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করলো সে। আর এই সুবাদে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডএ সর্বোচ্চ দৌত সংগীত হারমনিকার মাধ্যমে পরিবেশন করে রেকর্ড গড়লো বছর ১৪ কিশোর।

হারমনিকা বাজিয়ে রেকর্ড গড়লো

তার এই রেকর্ড প্রসঙ্গে জানা যায়, রানীগঞ্জের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার জয়ন্ত মুখার্জী ছেলে বছর চারেক আগে এক বিদেশিনি কিশোরীর সঙ্গীতচর্চা দেখে অনুপ্রাণিত হয় স্পন্দন, তার বাবার সাথে ছেলে ও সঙ্গীত পরিবেশন লক্ষ্য করে। তারা ওই কিশোরীর ভায়োলিন বাজানো বিষয়টি লক্ষ্য করেই চিকিৎসক বাবা তার ছেলেকে এরকম বাজাতে পারবে কিনা জানতে চাইলে ছেলে ও উদ্যম দেখায়। মুহূর্তে ওই চিকিৎসক ছেলেকে ভায়োলিন যন্ত্র কিনে দিতে উদ্যোগ নেয়।

এরপর চলে টানা অনুশীলন, বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ যন্ত্রসঙ্গীতের শিক্ষকের কাছ থেকে বছর এগারোর স্পন্দন 12 ধরনের যন্ত্র সংগীত বাজানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেলে তিন বছরের মধ্যেই। এরমধ্যে করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশুনার চাপ কিছুটা কম থাকায় যন্ত্রসঙ্গীতের ওপর আগ্রহ বাড়তে থাকে স্পন্দনের। সে এই সকলের মাঝে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিয়ে মাউথঅর্গান বা হারর্মনিকা বাজানো শুরু করে। কিছু দিনেই হারমনিকায় ব্যাপক পাকাপোক্ত হয়ে যায় স্পন্দন। এই বিষয়ে লক্ষ্য করে এক যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী তাকে হারমোনিকা বাজানোর প্রতিযোগিতায় নাম দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, আর এই প্রস্তাব পেয়ে মুহূর্তে রাজি হয়ে যায় স্পন্দন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে তাক লাগিয়ে দেয়। ওই কিশোর মুম্বাইয়ের ইন্ডিয়ান মাউথ অর্গানিস্ট ফেসবুক গ্রুপ দ্বারা আয়োজিত দৌত সঙ্গীতে অংশ নিয়ে 27 জন সর্বভারতীয় আট থেকে আশি বছরের মহিলাদের সঙ্গে দৌত সংগীত পরিবেশন করে।

30 দিনে 52 টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের সংগীতের সঠিক সুর তাল ছন্দ পরিবেশন করায় তাকে এক সোনার হারর্মনিকা দিয়ে সম্মানিত করা হয়। পাশাপাশি তার নাম ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নথিভূক্ত হয়। সোমবারই তার কাছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে সেই সম্মান পত্র এসে পৌছল। আগামীতে সঙ্গীত চর্চা নিয়ে কাজ করতে চাইছে স্পন্দন। ইতিমধ্যেই বিশেষ কিছু যন্ত্রসংগীত এর যন্ত্র তৈরি করে আশ্চর্যচকিত করেছে সে। আর ছেলের এই বিশেষ সম্মান পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি পরিবারের সকল সদস্যরা, তার খেতাব জয়ের বিষয় লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যদের সাথেই আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের শুভেচ্ছা জানিয়েছে স্পন্দনকে। ছেলের এই বিশেষ কৃতিত্ব দেখে তার বাবা তাকে আগামীতে সংগীতচর্চায় যেন সে এগিয়ে যায় তার তালীমী দেবেন বলে জানিয়েছেন।