Royal Care Hospital : চালু করল আরআইসিইউ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ: খনি অঞ্চল রানীগঞ্জে চিকিৎসা জগতে দ্রুত সুনাম অর্জনকারী হাসপাতাল গুলির মধ্যে অন্যতম রয়েল কেয়ার হাসপাতাল ( Royal Care Hospital ), এবার থেকে চালু করল আর আই সি ইউ ইউনিট। বুধবার ফিতে কেটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এর শুভ উদ্বোধন পর্ব সারলেন রানীগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। 2018 সালে 60 শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতাল গড়ে উঠেছে রানীগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাবীমোড় এলাকায়। আর প্রথম থেকেই সেই হাসপাতাল রয়েছে আই সি ইউ, ওটি, ডায়ালিসিস, প্যাথলজি, সিটি স্ক্যান, এক্সরে, ইউ এক্স জি, ইকোকার্ডিওগ্রাফির মতো ব্যবস্থা। পরবর্তীকালে টেম্পোরারি পেসমেকার, অত্যাধুনিক অর্থোপেডিক অপারেশন থিয়েটার, মাইক্রো সার্জারি ইউনিট চালু হয়। এবার সেই রয়েল কেয়ার হাসপাতাল, খনি অঞ্চলে সর্বপ্রথম অত্যাধুনিক আর আই সি ইউ, অর্থাৎ রেসপিরেটর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, যা মূলত শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও তার সমাধানের লক্ষ্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে সেই অত্যাধুনিক আর আই সি ইউ ইউনিট গড়ে তুললো।




পাঁচটি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর ও নানান ধরনের বাইপ্যাপ মেশিন, ও স্পাইরোমিটারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এখানে। যা সাধারণের নাগালের বাইরে থাকায় অন্য জায়গায় এ সকল চিকিৎসা পরিষেবা পেতে ব্যাপক দূর্ভোগে পড়তে হতো মানুষজনদের। রয়েল কেয়ার হাসপাতালে এইসকল ইউনিট স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে করে দেওয়ার কারণে অনেকেই এই চিকিৎসা পরিষেবার লাভ গ্রহণ করতে পারবেন বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে আগামীতে ই সি এল ও ই এস আই ইউনিট এর চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হবে এখান থেকে, তা কয়েক মাসের মধ্যেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আগামীতে উন্নত পরিষেবার মধ্যে অন্যতম ব্রেন ও স্পাইন সার্জারির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এপ্রিল _ মে মাসের মধ্যেই তা কার্যকর হবে বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিন হাসপাতাল আধিকারিক চিকিৎসক ডাক্তার জয়ন্ত ভট্টাচার্য নিজের বক্তব্যে জানান পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, মুখ্যমন্ত্রী যে বিশাল সাধু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা সাধারণ অসহায় মানুষদের ক্ষেত্রে একটা বিশেষ আশীর্বাদ, কারণ অনেক দুস্ত অসহায় পরিবার রয়েছে যারা জটিল রোগ নিরাময়ের জন্য আর্থিক কারণে সার্জারির কথা চিন্তা করতে পারতেন না। বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু হওয়ায় হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড এর মাধ্যমে নিঃশুল্ক পরিষেবা প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। টাকা নিয়ে যে পরিষেবা প্রদান করা হয়, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এ সেই একই পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে রোগীর পরিবারকে।
আর এসকল বিষয় গুলি কে লক্ষ্য করে বর্তমানে ( Royal Care Hospital )60 শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকে 110 শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল করার অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর, যার মাধ্যমে এই খনি অঞ্চল ও সংলগ্ন এলাকার আরো বেশি করে মানুষ এই হাসপাতালে পরিষেবা সহজভাবেই পেয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। বুধবার রয়েল কেয়ার হাসপাতালের উদ্বোধন পর্বে হাজির হয়ে এলাকার বিধায়ক তথা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান কোনো চিকিৎসক যদি ব্যবসায়িক স্বার্থে চিকিৎসা প্রদানের জন্য চিন্তা ভাবনা করে তাহলে তার উন্নতি কখনো সম্ভব নয়। চিকিৎসকের চিকিৎসার প্রসার তখনই ঘটে যখন মানুষকে সঠিক চিকিৎসা পরিসেবা প্রদান করে সুস্থ করে তোলা যায়, তারি কর্মফলের কারণে চিকিৎসকের উন্নতি রাস্তা নিজে থেকেই খুলে যায়। তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হল এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার অনবদ্য প্রচেষ্টা। এখানে রোগীরা এমনি ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন যে হাসপাতাল নিজে নিজেই তার উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে।