BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

আবারো দুষ্কৃতীদের লাগানো আগুনে পুড়ে মৃত্যু 250 গাছের সঙ্গে অনেক ছোট-ছোট কীটপতঙ্গ, প্রাণপণ লড়াই বনকর্মী এবং স্থানীয়দের

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- দুষ্কৃতীদের লাগিয়ে দেওয়া আগুনে আজ কয়েকশো জীবন্ত গাছ সাথে অনেক কীটপতঙ্গ পুড়ে মারা গেল.দুর্গাপুর বনবিভাগের আসানসোল রেঞ্জার অন্তর্গত গৌরান্ডি বিট এর আলিগঞ্জ মৌজার মেঝনদী জঙ্গলে বারাবনি ব্লকের পানুরিয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলিগঞ্জ মৌজা এলাকায় আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ দাও দাও করে আগুন জ্বলতে দেখেন বনকর্মীরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ।তীব্র হাওয়াই সে আগুন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়. তারা সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তর এর উচ্চস্তরের সংবাদ পাঠালে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্থানীয় Mejhandihi গ্রামের মানুষজন কে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম্য বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বন অধিকারী এবং বনরক্ষক বাহিনী এবং বনকর্মীরা সবাই একসাথে বেশ 1 ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন কিন্তু ততক্ষণে প্রায় অন্তত আনুমানিক 250 থেকে 300 আকাশমনি আগুনের দ্বারা ক্ষতি হয়

বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে 2018 সালে এই এলাকায় নিবিড় বনসৃজনের অঙ্গ হিসেবে অন্ততপক্ষে 48000 আকাশমনি গাছ লাগানো হয়েছিল ।এই ঘটনা নিয়ে গৌরান্ডি বিট অফিসের অধিকর্তা এবং বনরক্ষীরা বলেন কিছু দুষ্কৃতী গত বছর ধরে আমাদের এলাকার বিভিন্ন সবুজে ভরা জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, দুর্গাপুর বনবিভাগের নির্দেশে বারবার সচেতনামূলক অনুষ্ঠান এবং গ্রামে গ্রামে সচেতনামূলক প্রচার করা হয় বারবার গ্রাম্য অঞ্চলের সতর্কতামূলক প্রচার চালিয়ে যাওয়ার পরেও, বনদপ্তরের পাহারা থাকা সত্বেও তারা হঠাৎ হঠাৎ আগুন লাগিয়ে দেওয়া বহু গাছ পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে .

সূত্রে জানা গেছে আসানসোল থেকে অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে দমকল আসতে পারে না অথবা আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে আস্তে গিয়ে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায় ফলে জঙ্গলের আগুন মারাত্মক আকার নেয় এই দিকে কিছু হুজুগে মানুষ নিছক মজা দেখতে জঙ্গলের শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে ফলে বহু গাছ পুড়ে মারা যাচ্ছে জঙ্গল এলাকা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বন বিভাগ সূত্রে জানা ..বন বিভাগের অধিকর্তারা এবং বনরক্ষী বাহিনী সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন এই জঙ্গল প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে গাছ বাঁচাতে সকলের যেন এগিয়ে যায় কোথাও কোনো রকম দুষ্কর্ম বা আগুন লাগানোর ঘটনা দেখতে পেলে যেন সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগে জানানো হয় ।

Leave a Reply