ASANSOL

পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসককে সরানোর দাবি, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রার্থীকে নিয়ে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৪ এপ্রিলঃ আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসককে নেতৃত্বে ভোট লুঠ হয়েছে। তাই জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদকে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের আরও বা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। সোমবার বিকেলে আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা পাঁচ পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল, ইলেকশন এজেন্ট প্রশান্ত চক্রবর্তী, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতিম্ময় সিং মাহাতো ও কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।

জেলাশাসককে সরানোর দাবি

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেলাশাসকের পাশাপাশি আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সদর) সহ একাধিক থানার ওসি ও পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজ করা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পর্যবেক্ষকদের কাছে করেছেন। পাশাপাশি বিজেপির তরফে আসানসোল লোকসভার সাতটি বিধান সভার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিসি ক্যামেরার মনিটরিং দাবি করা হয়েছে।


পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আমরা জেলাশাসকের অপসারণ চেয়েছি। কারণ তার নেতৃত্বে আসানসোল পুর নির্বাচনে ভোট লুঠ করা হয়েছিলো। পাশাপাশি ডিসিপি (সদর) সহ আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের একাংশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তারা, থাকলে অবাধ ভোট হবেনা। তিনি আরো বলেন, কত কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা দাবি করেছি, নিয়ম মতো সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। পাশাপাশি সব বুথে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। আমরা বলেছি রাজ্য পুলিশকে বুথের আশপাশে রাখা যাবেনা। পর্যবেক্ষকরা আমাদের দাবি শুনে সব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।


রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, দিনকয়েক আগে আসানসোলের সার্কিট হাউসে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের পুলিশের মধ্যে একটা কো-অর্ডিনেশন বৈঠক হয়। আমরা খবর পেয়েছি, সেই বৈঠকে পাশের জেলা বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার কয়েকটি থানার ওসিরা ছিলেন। আমাদের প্রশ্ন ঐসব জেলার সঙ্গে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। তাহলে তারা কেন এসেছেন? আমাদের আশঙ্কা, ঐসব অফিসারদের দিয়ে ভোট লুঠের পরিকল্পনা করেছে শাসক দল। এরজন্য সাতটি এ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়েছে। হাজারের মতো টোটো রাখা হয়েছে।

এইসব করে ভোটের আগে শাসক দল আসানসোলে গুন্ডা অন্য জায়গা থেকে আনা হবে। এছাড়া আগামী ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কম্যান্ডিং অফিসার বা সিওদের সঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের একটি কো-অর্ডিনেশন বৈঠক হবে। উইথ ডিনার। আমরা দাবি করেছি, ঐ বৈঠকে অবশ্যই পর্যবেক্ষকরা থাকেন। পর্যবেক্ষকরা অন্য রাজ্যের ক্যাডার। তারা আসানসোলের অনেক কিছু জানেন না। আমরা যতটা পেরেছি তাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছি।
প্রয়োজন এইসব অভিযোগ দিল্লিতে সাংসদদের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে বলে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন।

টিএমসি জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেছেন যে শুভেন্দু আধিকারি পরাজয়ের ভয়ে আজে-বাজে কথা বলছেন। আব্জর্ভাররা ঘুরে দেখে নিন দুধের দুধ আর পানির পানি হয়ে যাবে। কোথায় অ্যাম্বুলেন্স এবং টোটো আছে উনি কি দেখাতে পারবেন ? তারা এমন মিথ্যা অভিযোগ করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

Leave a Reply