ASANSOL

তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ

বেঙ্গল মিরর,  রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও দেব ভট্টাচার্য, ৯ এপ্রিলঃ আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের প্রচারে এসে শনিবার তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ রবিশংকর প্রসাদ। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে দলের প্রচারে বিজেপির যে কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীরা এসেছেন তার মধ্যে অন্যতন হলেন রবিশংকর প্রসাদ।


এদিন দুপুরে তিনি আসানসোলে ২ নং জাতীয় সড়কের ধাদকা মোড় সংলগ্ন বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রবিশংকর প্রসাদ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি বিজেপির হয়ে দুবার রাজ্যসভা ও দুবার লোকসভার সাংসদ ছিলেন। মোট ২২ বছরের মধ্যে তিনি অটল বিহারি বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হন। দল তাকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি দল ছেড়ে কংগ্রেসে যান। গত লোকসভায় বিহারের পাটনা সাহিব থেকে লড়ে আমার কাছে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটে হারেন। তার স্ত্রী সমাজবাদী পার্টি ও ছেলে অন্য দলের হয়ে লড়াই করে হেরে যান। সেই শত্রুঘ্ন সিনহা এবার তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছে এখানে।

যে লোকটা তিন বছরে তিনবার দল পরিবর্তন করেছেন, তিনি ২০২৪ পর্যন্ত তৃনমুল কংগ্রেসে থাকবেন তার গ্যারেন্টি আছে তো? আসানসোলের মানুষ বিজেপির সঙ্গে যে আছেন, তা গত লোকসভা নির্বাচনগুলিতে প্রমান হয়েছে। আমার আবেদন একতা ও বিকাশের জন্য আসানসোলের মানুষেরা আবার বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিন। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি যে মানুষের জন্য কাজ করেন, তার প্রমান হলো ইউক্রেনের যুদ্ধ। সেখানে আটকে থাকা ২২ হাজার ছেলেমেয়েদের তিনি ফিরিয়ে এনেছেন। শুরু তাই তারজন্য আশপাশের দেশের ছেলেমেয়েরার ঐ যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছে।


এদিন তিনিও বর্তমানে দেশে জ্বালানি দাম বৃদ্ধি নিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও বিদেশ থেকে ক্রুড ওয়েল কেনাকে দায়ী করেছেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সদ্য হওয়া আসানসোল পুরনিগম ভোটের প্রসঙ্গ টেনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভয় পাচ্ছেন ইমানদারের সঙ্গে ভোট করাতে? ইমানদার ভোট হলে কি তৃনমুল কংগ্রেস ভোট পাবেনা। আমাদের দাবি এখানে ফ্রি এন্ড ফেয়ার ভোটের জন্য প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক। আর মনিটারিং করুক নির্বাচন কমিশন।


এদিন প্রার্থী বলেন, সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে গোটা আসানসোলের জন্য উন্নয়ন করবো। তবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি তার মধ্যে ৮ টি কাজকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবো। তার মধ্যে রয়েছে আসানসোলের জন্য মাষ্টার প্ল্যান, ইসিএল ও সেলের ক্যাজুয়াল কর্মীদের জব গ্যারেন্টি, যাদের জমি নেই তাদের কেন্দ্রীয় সংস্থার জমিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ির জন্য এনওসি আনা, দামোদর নদীতে ডোজিং করা, আসানসোল রানিগঞ্জ ও বরাকরে যানজটের সমস্যা কাটাতে ফ্লাই ওভার করা, আসানসোলে ইসিএলের সেন্ট্রাল হাসপাতাল বা বার্ণপুরের ইস্কো হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ করা, আসানসোলে রেলের লোকো স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করা ও দামোদর নদীতে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংযোগে প্রস্তাবিত ব্রিজ তৈরী করা।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ দে ও নেত্রী আশা শর্মা।

Leave a Reply